নিউজ ডেস্ক :
সৌদি আরব ও কাতার থেকে পৃথক দু’টি প্রস্তাবের বিপরীতে ৬০ হাজার মে.টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিসহ ২টি ক্রয়প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৩৬ কোটি ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরব থেকে ১ম লটে ৩০ হাজার মে.টন (১০%+) বাল্ক গ্র্য্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ১১ জুন তারিখে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ৫ লাখ ৪০ হাজার মে.টন ইউরিয়া সার আমদানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে ১ম লটে ৩০ হাজার মে.টন (১০%+) বাল্ক গ্র্য্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মে.টন ৩২৭.৮৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ব্যয় হবে ৯৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৮ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় আমদানির প্রত্যাশামূলক অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।
সভায় রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ২য় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্য্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) সভার অনুমোদনক্রমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাতার থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৫ লাখ ১০ হাজার মে.টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কাতারের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মে.টন ৩২৭.৮৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ২য় লটে ৩০ হাজার মে.টন (১০%+) বাল্ক গ্র্য্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ৯৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৮ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, সভায় ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া ১টি ও নওগাঁ ১টি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়নি কমিটি।