নিউজ ডেস্ক :
লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে যেন স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই। একদিকে দাম কমলে অন্যদিকে শুরু হয় বাড়ানোর পাঁয়তারা। দ্রব্যমূল্য নিয়ে বরাবরই ভোক্তাদের অভিযোগ থাকলেও নানা অজুহাত নিয়ে বিক্রেতারাও থাকেন সদা প্রস্তুত।
কয়েকদিনের ব্যবধানে আজ বাজারে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি ভারত থেকে এসেছে প্রায় আড়াই লাখ ডিম। এতে ডিমের বাজারে স্বস্তি আসেনি বরং সপ্তাহ ঘুরে ডজনে নিত্যপণ্যটির দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ, সবজি ও মাংস। আর প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, গরুর মাংস ও বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ থেকে ৭৮০ টাকায়।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের দাবি, সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল, মাছ ও মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। ফলে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ভারতে একটা ডিমের উৎপাদন খরচ পাঁচ টাকা, অথচ বাংলাদেশে উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ২৯ পয়সা। আমাদের এখানে দ্বিগুণ কেন এটা সরকারের আগে খতিয়ে দেখতে হবে।
এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস ও সবজির বাজার। প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, লেয়ার ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া করলা ৫০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, সিম ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, রসুন ২০০, পেঁয়াজ ১১০, আদা ২৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বা তার কম বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি কাচকি মাছ ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০, স্বরপুটি ২০০, পাঙাশ ২০০, সামুদ্রিক লইট্টা মাছ ২০০ টাকা, বড় রুই মাছ ৪০০-৪৫০, মেনি মাছ ২০০ টাকা, খইলশা মাছ ২০০, নলা মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা এবং চিংড়ি মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।