বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী খাদ্যের দাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
টানা দুই মাস বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী খাদ্যের দাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগের (এফএও) মাসিক প্রতিবেদন বলছে, আগস্টে কমেছে চিনি, মাংস ও শস্যের দাম। বিপরীতে বেড়েছে দুগ্ধজাত পণ্য ও ভোজ্য তেলের দাম। এছাড়া চলতি বছর বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদন পূর্বাভাস ২৮ লাখ টন কমিয়ে ২ হাজার ৮৫ কোটি ১০ লাখ টনে নামিয়ে এনেছে সংস্থাটি।

এফএওর মাসিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, গত আগষ্ট মাসে বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কিছুটা কমেছে। এ নিয়ে জুলাই-আগষ্ট টানা দুই মাসে কমলো খাদ্যের দাম। গত মাসে চিনি, মাংস ও শস্যের দাম কমলেও দুগ্ধজাত পণ্য ও উদ্ভিজ্জ তেলের দাম বেড়েছে।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্য সূচক কমে ১২০ দশমিক ৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে; জুলাইয়ে যা ছিল ১২১ পয়েন্ট। খাদ্যশস্যের মধ্যে গমের দাম কমার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছে এফএও।

ভারত ও থাইল্যান্ডে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চিনি উৎপাদন বাড়তে পারে, এমন সম্ভাবনা সামনে রেখে বিশ্ববাজারে আগস্টে কমতির দিকে ছিল চিনির দাম। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম নিম্নমুখী প্রবণতাও প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

অন্যদিকে চাহিদা বেশি থাকায় আগস্টে ঊর্ধ্বমুখী ছিল গুঁড়ো দুধ, মাখন, পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্যের দাম। এছাড়া বাড়তি চাহিদার মুখে টানা তৃতীয় মাসের ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাজারে বেড়েছে পাম তেলের বাজার।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থাটির আরেক প্রতিবেদেনের মাধ্যম দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, চলতি বছর বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদন পূর্বাভাস ২৮ লাখ টন কমিয়ে ২ হাজার ৮৫ কোটি ১০ লাখ টনে নামিয়ে আনা হয়েছে। গত বছরও সমপরিমাণ শস্য উৎপাদিত হয়েছিল।

বিশ্বে শস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, মেক্সিকো ও ইউক্রেনে গরম ও শুষ্ক আবহাওয়াকে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আগামী বছর মৌসুমের শেষে বিশ্বব্যাপী শস্য মজুতের পূর্বাভাস ৪৫ লাখ টন কমিয়ে ৮৯ কোটি টন করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন: ৯ প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতা বিএসইসির
পরবর্তী নিবন্ধসোমবার থেকে দাখিল করা যাবে ই-রিটার্ন