বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি :
দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে দুই লাখ ৩১ হাজার ৪০ পিস ডিম। সবমিলিয়ে আমদানি খরচ পড়েছে ডিমপ্রতি সাত থেকে সাড়ে সাত টাকা।
সোমবার বিকেলে (৯ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যতদ্রুত সম্ভব খালাস দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সে অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ এক টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সবমিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে সাত থেকে সাড়ে সাত টাকার মতো।
ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রপ্তানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড়করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কাগজপত্র জমা দিয়েছে স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ বলেন, ডিমের বাজারের অস্থিরতা নিরসনে আরও বেশি ডিম আমদানি দরকার। এরইমধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। আমি মনে করছি, এভাবে ডিম আমদানি হলে বাংলাদেশের মানুষ কম দামে ডিম কিনতে পারবে।
ডিমের পরীক্ষণ বিষয়ে বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সনদের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে। দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার ওথেলো চৌধুরী বলেন, ডিম আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর খালাস দেওয়া হবে।