অবশেষে কম শুল্কে বেনাপোলে ডিমের খালাস শুরু

যশোর প্রতিনিধি :
যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা ডিম ২৫ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ শুল্কায়নে খালাস শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিমের এ চালান আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন কাস্টমস থেকে খালাস নিয়েছে। প্রতি পিস ডিমে আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা শুল্ককর দিতে হলেও এখন শুল্ক কমানোয় প্রতি পিসে ৭৬ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানি করা নতুন চালানের ডিম বাজারে ৯ টাকার মধ্যে বিক্রি হওয়ার কথা।

ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজার দর কমাতে গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) শুল্ক কমানো সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আর কাস্টমসে এ নির্দেশ আসে রোববার (২০ অক্টোবর)।

গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছিল ডিমের চালানটি। কম শুল্কে ডিম খালাস করতে আমদানিকারক তিনদিন ধরে বন্দরে আটকে রাখে ডিমের ট্রাক। পরে চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করাতে কাজ করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।

এদিকে ডিম আমদানি বাড়লেও বাজারে কোন প্রভাব পড়ছে না। এখনও প্রতি হালি ডিম ৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। কম শুল্কে ডিম খালাস নিতে আমদানিকারক বন্দরে ডিমের চালান তিনদিন ফেলে রাখায় ভোক্তাদের ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের স্বত্বাধিকারী প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, নতুন নির্ধারণ করা শুল্কে ডিম খালাস নিতে ডিমের চালান বন্দরে তিনদিন রাখা হয়েছিল। সোমবার ৫ শতাংশ শুল্কে খালাস নেয়া হয়েছে। এখন দাম আগের চেয়ে কমবে।

বেনাপোল বন্দরের সহকারি পরিচালক কাজি রতন জানান, তিনদিন পর বন্দর থেকে আমদানিকারক ডিমের চালান খালাস নিয়েছেন। তাকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হয়েছে।

কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে পৌনে ১০ লাখ ডিম আমদানি হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানই এসব ডিম আমদানি করেছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান এখনও ডিম আমদানি করেনি।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএর তথ্যমতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। দেশে প্রতিদিন সব প্রকার ডিমের চাহিদা ৪ কোটি পিস, আর উৎপাদন আছে ৫ কোটি পিস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঈদুল ফিতরে ৫, আজহায় ৬, দুর্গাপূজায় ২ দিন ছুটির প্রজ্ঞাপন
পরবর্তী নিবন্ধক্যাপিটাল গেইনের কর অব্যাহতি নিয়ে পদক্ষেপ নিবে ডিএসই