ঈদুল ফিতরে ৫, আজহায় ৬, দুর্গাপূজায় ২ দিন ছুটির প্রজ্ঞাপন

নিউজ ডেস্ক :

আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল আজহায় ছয় দিন ও ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় ছুটি দুই দিন করে সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

সোমবার (২১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী বছরের ৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতর এবং ৭ জুন শনিবার ঈদুল আজহায় এক দিন করে সাধারণ ছুটি। এর সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন (২৯ ও ৩০ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর ঈদুল আজহার আগের দুই দিন ও পরের তিন দিন (৫ ও ৬ জুন এবং ৮, ৯ ও ১০ জুন) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় বিজয় দশমীর দিন ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি এবং আগের দিন ১ অক্টোবর বুধবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি রয়েছে।

সাধারণ ছুটি

২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২৮ মার্চ এপ্রিল জুমাতুল বিদা, ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর, ১ মে মে দিবস, ২১ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখি পূর্ণিমা), ৭ জুন ঈদুল আজহা, ১৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ৫ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ২ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।

নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি

১৫ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ২৮ মার্চ শবে কদর, ২৯ ও ৩০ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের আগে দুই দিন ও পরে দুই দিনসহ মোট চার দিন, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ঈদুল আজহার আগে ৫ ও ৬ জুন দুদিন এবং পরে ৮ থেকে ১০ জুনসহ মোট পাঁচ দিন, ৬ জুলাই আশুরা এবং ১ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহানবমীর দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।

ঐচ্ছিক ছুটি

ঐচ্ছিক ছুটির মুসলিম পর্বের মধ্যে রয়েছে—২৮ ফেব্রুয়ারি শবে মেরাজ, ৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের পরের তৃতীয় দিন, ১১ জুন ঈদুল আজহার পরের চতুর্থ দিন, ২০ সেপ্টেম্বর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ৪ অক্টোবর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।

হিন্দু পর্বের ঐচ্ছিক ছুটির দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে—৩ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি ব্রত, ১৪ মার্চ দোলযাত্রা, ২৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী), ৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৩১ অক্টোবর শ্যামাপূজা।

খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি—১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ৫ মার্চ ভস্ম বুধবার, ১৭ এপ্রিল পূণ্য বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল পূণ্য শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল পূণ্য শনিবার, ২০ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)।

ঐচ্ছিক ছুটির বৌদ্ধ পর্বের মধ্যে রয়েছে—১১ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি, ১০ ও ১২ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা (পূর্বের ও পরের দিন), ৯ জুলাই আষাঢ়ি পূর্ণিমা, ৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে—১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।

ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসামান্য বাড়ল সূচক, কমেছে লেনদেন
পরবর্তী নিবন্ধঅবশেষে কম শুল্কে বেনাপোলে ডিমের খালাস শুরু