ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র হেডকোয়ার্টার্স, চন্দ্রা কালিয়াকৈর, গাজীপুরে ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশন থেকে বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে এ বিশেষ বহির্গমন মহড়ার আয়োজন করা হয়। এতে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। অগ্নিনির্বাপণ ও অন্যান্য বহির্গমন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও ব্যবহারিক প্রয়োগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন তারা।

জরুরি বহির্গমন মহড়ায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যবহারিক প্রয়োগ, আগুন লাগলে ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও নিরাপদ প্রস্থান বিষয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবার অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসাবিষয়ক জ্ঞান থাকা জরুরি। এতে জরুরি অবস্থায় আগুন থেকে বাঁচা এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। জরুরি পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ শ্রম বিধি অনুযায়ী ভবনে কর্মরত সবার প্রস্তুতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ধরনের মহড়া অপরিহার্য। ওয়ালটন সর্বদা এই বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে আসছে।

বাংলাদেশের সমসাময়িক বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সকলের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।

ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সের প্রশাসন বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) জাহিদুল হাসান বলেন, যে কোনো জরুরি মুহূর্তে সবথেকে বেশি নিজের জীবনের গুরুত্ব দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় সমাবেত হতে হবে। এরকম অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।

ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অনুপস্থিতি বা অভাব, নির্গমণ পথের স্বল্পতা এবং সর্বোপরি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার অভাব বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির জন্য দায়ী। অসতর্কতা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ। তাই, প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়। আপৎকালীন সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুততম সময়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও কোম্পানির সম্পদ রক্ষার জন্য এই মহড়াটি কয়েকটি কার্যকরী দলে বিভক্ত ছিল। সঞ্চালনা করেন ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইন্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেরপুরে বন্যায় কৃষি খাতে ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকা, মৎস্যে শতকোটি
পরবর্তী নিবন্ধদুর্গাপূজা: বাংলাবান্ধা-বুড়িমারি-বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ