নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধান উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বর্ধিত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক শক্তিশালী হোক আমরা এমনটাই দেখতে চাই।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর উপায়, বাংলাদেশে ভুটানের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য ক্ষেত্র এবং হিমালয় রাজ্যে বৌদ্ধ ধর্মে বাংলার প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
ভুটানের রাষ্ট্রদূত ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যার সঙ্গে ভুটানের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। তিনি পিটিএ-তে আরও পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান কারণ দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির বিশাল সুযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত এসময় কুড়িগ্রামে ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকেরও প্রশংসা করেন। ভুটান ইতোমধ্যে সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে।
তিব্বত, নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশি বৌদ্ধ ভিক্ষু ও পণ্ডিতরা কীভাবে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেছেন তারও বর্ণনা দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত কুয়েনসিল।
এছাড়াও তিনি অষ্টম শতাব্দীর সন্ন্যাসী শান্তরক্ষিতকে নিয়েও কথা বলেছেন। যিনি ছিলেন অতীশ দীপঙ্করের পূর্বপুরুষ এবং দশম শতাব্দীর সন্ন্যাসী যিনি তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। দুজনেরই জন্ম বাংলাদেশের আধুনিক মুন্সীগঞ্জ জেলায়।
ভুটানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৫ শতকের প্রথম দিকে, বানারত্ন, যিনি বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি ভুটান সফর করেছিলেন এবং সেখানে একটি বুদ্ধের মূর্তি এবং একটি মঠ স্থাপন করেছিলেন। তিনি এখনও রাজ্যের মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।