নিউজ ডেস্ক :
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে ‘বেলিয়া ইন্টারন্যাশনাল এলিভেটর এক্সপো-২০২৪’ ও ‘গ্লোবাল লিফট অ্যান্ড এস্কেলেটর এক্সপো-২০২৪’। দেশি-বিদেশি লিফট ও এস্কেলেটর প্রস্তুতকারক এবং বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে প্রদর্শনী। সেখানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের লিফট।
বাংলাদেশ এলিভেটর, এস্কেলেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া) এবং ভার্গো কমিউনিকেশনসের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে এ এক্সপো উদ্বোধন করা হয়। শনিবার (১১ অক্টোবর) পর্দা নামছে বেলিয়া ইন্টারন্যাশনাল এলিভেটর এক্সপোর।
শনিবার দুপুর ১২টায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেছেন দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম।
ওয়ালটনের লিফ্ট বিভাগের ডেপুটি চিফ বিজনেস অফিসার আহসান ফেরদৌস জানিয়েছেন, গ্রাহকদের চাহিদা এবং রুচির বিষয় মাথায় রেখে ওয়ালটন লিফ্ট তৈরী করছে। যদি গ্রাহক চান, তাহলে তাদের পছন্দমতো লিফ্ট তৈরী করে দেওয়াও সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ওয়ালটন লিফটে সার্টিফাই লিভার, ক্যাবল এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। যদি লিফটের সব ক্যাবলও ছিঁড়ে যায় (যদিও এটি হয় না, তবে তর্কের খাতিরে বিবেচনা করলে) এটির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি লিফটকে লক করে ফেলবে এবং একদম নিচে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে।
আহসান ফেরদৌস বলেন, লিফটের গতি যেভাবে প্রোগ্রাম করা থাকবে, তার বেশি হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে লিফট একটি ফ্লোরে নিরাপদে স্থির হয়ে যাবে। লোডশেডিংয়ের কারণে যদি লিফট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও তখন বিপদের কোনো আশঙ্কা থাকে না। তবে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওয়ালটন লিফট লোডশেডিংয়েও দুটি ফ্লোরের মাঝে দাঁড়াবে না। এটি ওপরের কিংবা নিচের ফ্লোরে গিয়ে দাঁড়াবে এবং দরজা খুলে যাবে।
এছাড়া, ওয়ালটন বাজারে নিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ কাচের দরজার লিফট। এ বিষয়ে আহসান ফেরদৌস বলেন, অনেকে লিফটে উঠতে ভয় পান সাফোকেশনের জন্য, বদ্ধ জায়গার জন্য। তাদের কথা চিন্তা করে এই লিফট। যাতে তারা বাইরের পরিবেশ দেখতে পারেন, সাফোকেটেড ফিল না করেন।
আহসান ফেরদৌস বলেন, আমাদের ওয়ালটনের লিফটের ক্যাবিনের পাত, গ্লাস, সিলিং, হ্যান্ডেল, ক্যাবিন ডিসপ্লে এবং বাটন সবকিছুতেই নতুনত্ব রয়েছে। কেউ চাইলে লিফটে ক্যাবিন ডিসপ্লেতে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ডিসপ্লে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে ক্যামেরা রয়েছে এবং কার্ড পাঞ্চের ব্যবস্থা আছে। যদি কেউ ফেস কিংবা কার্ড দিয়ে প্রোগ্রাম সেট করে নেন, তাহলে তার ফেস বা কার্ড পাঞ্চে কাঙ্ক্ষিত ফ্লোরে নামতে পারবেন। এছাড়া তো সেই ডিসপ্লেতে টাচ বাটন থাকবেই।
ওয়ালটনের প্যাভিলনে লিফটের পাশাপাশি এআই প্রযুক্তির ফ্রিজ, ফ্যান, রাইস কুকার, প্রেশার কুকার, ব্লেন্ডার প্রদর্শন করা হচ্ছে। সেখানে লিফটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সাজানো রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের মোট চাহিদার ১৫ শতাংশ লিফট সরবারহ করে থাকে।
ওয়ালটন লিফট ইউনিটের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর (অপারেশন) আবির মাহাতাসিন বলেন, আগের মেলাগুলোতেও আমরা বেশ সাড়া পেয়েছি। এ বছর আমরা আরো বেশি সাড়া পেয়েছি। পাশাপাশি এবার আমরা প্রিমিয়ার কাস্টমারের কথা মাথায় রেখে গৃহস্থালি পণ্যগুলো স্টলে রেখেছি। যাতে গ্রাহকরা তাদের ঘরের সঙ্গে মিলিয়ে এসব পণ্য কিনতে পারেন।
ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের প্রধান সৈয়দ নুরুল হাসান সোহান বলেন, শনিবার দুপুর পর্যন্ত আমরা ২০ ইউনিট লিফট বিক্রি করেছি। আশা করছি, আরো কিছু বিক্রি হবে। কর্পোরেট ক্লায়েন্টরা আসছেন। অন্য ক্লায়েন্টরাও আসছেন। তারা লিফটের পাশাপাশি ওয়ালটনের হোম অ্যাপ্লায়েন্স এবং ইলেকট্রিক্যাল সলিউশন পণ্যেও আগ্রহ দেখিয়েছেন।