ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার

নিউজ ডেস্ক : টানা দরপতন আর লেনদেন খরার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে এ বাজারটিতেও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস দুই শেয়ারবাজারেই মূল্যসূচক বাড়লো।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। তবে অল্প সময়ের মধ্যে দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে লেনদেনের ১০ মিনিটের মধ্যে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

এরপর প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচক কয়েকবার ওঠা-নামা করে। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে দাম বাড়ার তালিকা বড় হতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত চলে এই প্রবণতা। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫১টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫১৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- অগ্নি সিস্টেম, ইসলামী ব্যাংক, রবি, ব্র্যাক ব্যাংক, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, ফারইস্ট নিটিং এবং ওরিয়ন ফার্মা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৯টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনভেম্বরেই শ্বেতপত্র সরকারের হাতে তুলে দেবে দেবপ্রিয় কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধবিসিএস পরীক্ষা দেয়া যাবে ৪ বার