হামাস, হিজবুল্লাহকে ঠেকাতে গিয়ে বেসামাল ইসরাইলের অর্থনীতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মধ্যপ্রাচ্যে এখন যুদ্ধের দামামা। ইসরাইলি হামলায় লেবাননের ইরানপন্থি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর ১ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবসহ ইহুদিবাদী দেশটির বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান। এই হামলার প্রেক্ষিতে লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপকমাত্রায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুদ্ধের ধকলে ধুঁকছে ইসরাইলের অর্থনীতি
ইসরাইল ও ইরান পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতেই এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। তবে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ইসরাইলের অর্থনীতিও। ইতোমধ্যেই হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে চলমান সংঘাতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ইসরাইলের অর্থনীতিতে। যা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন নতুন ফ্রন্টে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে যুদ্ধের খরচ, অপরদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ইসরাইল আস্থা হারাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের।

উৎপাদন ও কৃষিখাত থেকে দক্ষ ইসরাইলি নাগরিকদের সরিয়ে এনে রিজার্ভ সেনা হিসেবে যুদ্ধের ফ্রন্টে পাঠাতে বাধ্য হওয়ার প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে ইসরাইলের অর্থনীতির ওপর। ইতোমধ্যেই সঙ্কুচিত হতে শুরু করেছে ইহুদিবাদী দেশটির অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে তা দেশটির অর্থনীতিকে ধসের দিকে নিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং বা ঋণমান সংস্থাগুলো।

ইসরাইলের ঋণমানের অবনমন ঘটিয়েছে স্টান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ইসরাইলের ঋণমান সূচক হ্রাস করেছে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা স্টান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর (এসএন্ডপি)। হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের চলমান এই সংঘাত সহসাই থামার লক্ষ্মণ নেই উল্লেখ করে ঋণমান সংস্থাটি জানিয়েছে এই লড়াই আগামী বছরেও গড়াতে পারে, যা ইসরাইলের অর্থনীতি এবং আর্থিক খাতের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি এই সংঘাত ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের সরাসরি লড়াইয়ের ঝুঁকি তৈরি করবে উল্লেখ করে ইসরাইলের ঋণমান ‘এ প্লাস’ থেকে হ্রাস করে ’এ’ তে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় এসঅ্যান্ডপি। তারা জানায়, চলমান সংঘাতের ফলে তৈরি হওয়া উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা ঝুঁকি ইসরাইলের ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস হ্রাস করবে এবং এর ফলে পর্যটন, নির্মাণ ও কৃষি খাতসহ অন্যান্য খাতও আক্রান্ত হবে।

ইসরাইলের অর্থনীতির ওপর এই যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে এসঅ্যান্ডপি জানিয়েছে, লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরাইল স্থল অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে, নিয়মিত সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি তাদের রিজার্ভ সেনাদেরও মোতায়েন করতে হবে। এর নেতিবাচক প্রভাবও দেশটির অর্থনীতির ওপর খুব শিগগিরই পড়তে পারে। পাশাপাশি যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে ইসরাইলের ঋণমান আরও হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তাদের মতে যদি চলমান সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং আরও বড় ধরনের যুদ্ধে পরিণত হয়, তবে তা ইসরাইলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বিনিময় ভারসাম্যের ওপর ধারণাতীত প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

পাঁচ মাসের মধ্যে দুই দফায় ঋণমানের অবনমন অশনি সংকেত
তবে শুধু হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যার পর ইরানের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতের প্রেক্ষিতেই নয়, মূলত গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকেই রক্তক্ষরণ হতে থাকে ইসরাইলের অর্থনীতিতে। এর ফলে চলতি বছর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইসরাইলের ক্রেডিট রেটিং হ্রাস করলো এসঅ্যান্ডপি।

চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল ইসরাইলের ক্রেডিট রেটিং ’এএ মাইনাস” থেকে হ্রাস করে “এ প্লাস” করে প্রতিষ্ঠানটি। সে সময় ইসরাইলের এই ঋণমান হ্রাসের কারণ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের চলমান লড়াই এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল। তারা জানিয়েছিল এই সংঘাত ইসরাইলের অর্থনীতি এবং বিনিময় ভারসাম্য বা ব্যালান্স অব পেমেন্টের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি সংঘাত আরও বাড়তে থাকলে কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে আরও বৃহত্তর সংঘাতে ইসরাইল জড়িয়ে পড়লে এই ঋণমান পরবর্তী ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে আবারও অবনমিত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

সব মিলিয়ে টানা যুদ্ধের ধকল ধারণার থেকেও বেশি চাপ তৈরি করেছে ইসরাইলের অর্থনীতির ওপর। তাই ১২ কিংবা ২৪ মাস নয় মাত্র ৫ মাসের মাথায় ইহুদি দেশটির ঋণমান দ্বিতীয় দফায় অবনমন করে এসঅ্যান্ডপি। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে এভাবে যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে খুব দ্রুতই পতনের মুখে পড়বে ইসরাইলের অর্থনীতি।

এসঅ্যান্ডপির পাশাপাশি ঋণমানের অবনমন ঘটিয়েছে মুডিসও
শুধু এসঅ্যান্ডপিই নয় ইসরাইলের ক্রেডিট রেটিংয়ের অবনমন ঘটিয়েছে বিশ্বের অপর খ্যাতনামা ঋণমান সংস্থা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মুডিসও। গত শুক্রবার ইসরাইলের ঋণমান “এ টু” থেকে ”বিএএ ওয়ান” এ অবনমিত করে তারা। এসঅ্যান্ডপির মতো মুডিসও চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো ঋণমান হ্রাস করে ইসরাইলের। ইহুদি রাষ্ট্রটির ঋণমান অবনমনের কারণ হিসেবে হিজবুল্লাহর সঙ্গে তাদের বাড়তে থাকা সংঘাতকে উল্লেখ করে তারা। তবে একই সঙ্গে মুডিস মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে ইসরাইলের সঠিক কোনো পথ বা ”এক্সিট প্ল্যান” না থাকাকেও এই ঋণমান অবনমনের জন্য দায়ী করে মুডিস। এই যুদ্ধ একই সঙ্গে ইসরাইলের ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলেছে বলে জানায় মুডিস।

ঋণমান অবনমনে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলে
মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে বিশ্বের খ্যাতনামা এই ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠান দুটির ঋণমান অবনমনের প্রভাব ইসরাইলের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে খোদ ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলোই। ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, এই ঋণমান অবনমনের ফলে ইসরাইলের সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণ নেয়ার বিষয়টিকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলবে এবং তা এমন এক সময় যখন এমনিতেই চলমান যুদ্ধের খরচ মেটাতে শত শত বিলিয়ন শেকেল (ইসরাইলের মুদ্রা) ব্যয় করতে হচ্ছে ইহুদি রাষ্ট্রটিকে। পাশাপাশি যুদ্ধের কারণে বিনিয়োগকারীরাও ইসরাইলে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে আরও বেশির ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলেও উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমটি।

নেতানিয়াহুর যুদ্ধের বোঝা চাপছে সাধারণ ইসরাইলিদের কাঁধে
ইতোমধ্যে অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধের বোঝা ব্যাপকভাবে চেপে বসেছে ইসরাইলের সাধারণ মানুষের কাঁধে। দেশটির যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একগুয়েমিতে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের বোঝা সাধারণ ইসরাইলিদের কাঁধে কিভাবে চাপছে তার চিত্র তুলে ধরেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল। তাদের দেয়া হিসাব মতে গত বছরের অক্টোবরে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এই যুদ্ধে ইসরাইলের সরাসরি যুদ্ধব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৫০ বিলিয়ন শেকেল বা ৬৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে। যা ইসরাইলের মোট জিডিপির প্রায় ১৩ শতাংশ। এর পাশাপাশি যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রে পরোক্ষ ব্যয় এবং ক্ষয়ক্ষতি তো আছেই। এদিকে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে এই যুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক ব্যয় বছরে তাদের মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের সমপরিমাণ। এ পরিস্থিতিতে যদি ইরানের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু করে ইসরাইল তাহলে তা দেশটির অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে মুডিস ও অন্যান্য ঋণমান সংস্থাগুলো।

থেমে গেছে ইসরাইলের অর্থনীতির চাকা
এদিকে যুদ্ধের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ইসরাইলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও। ২০২৪ সালে ইসরাইলের অর্থনীতিতে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে মুডিস। পাশাপাশি ২০২৫ সালের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে তারা। ইসরাইলের অর্থনীতির এই দুর্দশার চিত্র প্রতিফলিত হয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর প্রতিবেদনেও। সেখানে ইসরাইলি থিংকট্যাংক তেল আবিবের ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ (আইএনএসএস) এর সিনিয়র রিসার্চার ইওয়েল গুজানস্কি সিএনএনকে বলেন, চলমান যুদ্ধ ইসরাইলের অর্থনীতি ও ইসরাইলি সমাজের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করছে। আর এই প্রতিক্রিয়া আগামী বছরগুলোতেও ইসরাইলকে মোকাবিলা করতে হবে।

অরগানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বা ওইসিডি ভুক্ত ৩৮টি দেশের মধ্যে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়েছে ইসরাইলের। সংস্থাটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম মাসগুলোতে ইসরাইলের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ, এই সঙ্কোচন চলতি বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকেও অব্যাহত রয়েছে।

দক্ষ কর্মীদের পাঠাতে হচ্ছে যুদ্ধে, ঘাটতির মুখে উৎপাদন ও কৃষি
যুদ্ধের কারণে চাপ পড়ছে ইসরাইলের কৃষি ও উৎপাদন খাতে। যুদ্ধ শুরুর পর একদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের ইসরাইলে কাজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, অপরদিকে রিজার্ভ বাহিনীতে তলব করার কারণে দক্ষ মানব সম্পদেরও ঘাটতি তৈরি হয়েছে দেশটির উৎপাদন ও কৃষিখাতে। গাজায় হামলা শুরু করার পর ইসরাইল তাদের নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে ১ লাখ ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিককে কাজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে, অপরদিকে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে ডাকতে হয়েছে তাদের রিজার্ভ বাহিনীকেও। এই রিজার্ভ বাহিনীর সদস্যরা শান্তিকালীন সময় বেসামরিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকতো, যাদের অধিকাংশই স্ব স্ব ক্ষেত্রে উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী।

যদিও এই ঘাটতি পূরণের জন্য ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে কর্মী নিয়োগের চেষ্টা করছে তেল আবিব, তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ইসরাইলে কাজ করতে যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না সে সব দেশের কর্মীরা। ইতোমধ্যেই ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দেশটিতে থাকা ভারতীয় শ্রমিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত।

অর্থনৈতিক জরিপ প্রতিষ্ঠান ”কোফেস বিডিআই” এর দেয়া তথ্য মতে দক্ষ মানব সম্পদের অভাবে চলতি বছরই বন্ধ হয়ে যেতে পারে প্রায় ৬০ হাজার ইসরাইলি কোম্পানি।
সূত্র : সময়টিভি অনলাইন

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৭ জেলায় ঝড়ের আভাস
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশি কর্মী ভিসার জটিলতা নিষ্পত্তি করবে ইতালি