নিউজ ডেস্ক :
ক্যাপিটাল গেইনের উপর আরোপিত কর হার হ্রাসের বিষয়ে সরকার এবং এনবিআরের সাথে কথা চলছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি বলেন, বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের আধুনিকায়নে বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনা চলছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিএসইসি ভবনে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কল্যাণের স্বার্থে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সংস্কারের জন্য বিএসইসি কাজ করছে। সকলের সাথে সমন্বয় করেই বাজারের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। বিনিয়োগকারীদের কল্যাণের কথা ভেবে বিএসইসি বাজারে ক্যাপিটাল গেইনের উপর আরোপিত করহার কমানোর বিষয়ে সরকার এবং এনবিআরের সাথে কথা বলছে। এই বিষয়টির সমাধানে আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুতই এ বিষয়টিতে আমরা ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারবো বলে আশা করছি।
তিনি জানান, পুঁজিবাজারের সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের উন্নয়নে বিএসইসি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে এবং বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের আধুনিকায়নে বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনা চলছে।
সভায় সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কল্যাণের স্বার্থে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন পলিসি নিয়ে বিএসইসি, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের মধ্যে আলোচনা হয়। এ সময় পুঁজিবাজারের বিদ্যমান কর নীতির প্রয়োজনীয় সংস্কার, পুঁজিবাজারের সার্ভেইল্যান্সের মান উন্নয়ন ও সার্ভেইল্যান্সের মাধ্যমে অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনয়নসহ সার্ভেইল্যান্স ব্যবস্থার সংস্কার এবং পুঁজিবাজারের বিদ্যামান শেয়ার লেনদেনের সেটেলমেন্ট সময়কে আরো দ্রুত করা ও বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের জন্য সুবিধাজনক করার বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া পুঁজিবাজারের অনিয়ম রোধে এবং কারসাজিকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম আধুনিকায়ন বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সময় সভায় উপস্থিত সকলে বিএসইসির পাশাপাশি এক্সচেঞ্জসমূহের সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের উন্নয়ন এবং তাদের সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রমও জোরদার করা প্রয়োজন মর্মে মত দেন। পাশাপাশি বাজারে প্রাইস ম্যানুপুলেশন ও ইনসাইডার ট্রেডিংসহ অন্যান্য অনিয়ম রোধকল্পে বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই সকলের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম আরো শক্তিশালীকরণের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। এছাড়াও পুঁজিবাজারকে আরো গতিশীল করতে ও বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আগ্রহী করতে পুঁজিবাজারে বিদ্যামান কর নীতির সংস্কার আনয়ন এবং করহার যৌক্তিকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভার আলোচনায় পুঁজিবাজারের বিদ্যামান শেয়ার লেনদেনের সেটেলমেন্ট সময়কে আরো দ্রুত করা এবং বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের জন্য সুবিধাজনক করার জন্য কীভাবে কাজ করা যেতে পারে, করার প্রক্রিয়াসহ এর সুবিধা-অসুবিধা ও ফলাফল ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান ছাড়াও বাকি তিন কমিশনার- মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ; বিএসইসি’র কর্মকর্তাবৃন্দ; পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সকল সদস্যবৃন্দ এবং ডিএসই, সিএসই এবং ও সিডিবিএলের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।