নিউজ ডেস্ক :
মালয়েশিয়া থেকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য পাম অয়েল কিনতে চায় বাংলাদেশ। সেজন্য দেশটিকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দীন। এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে মালয়েশিয়া।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় বাণিজ্য উপদেষ্টার দ্বিতীয় দিনের সংক্ষিপ্ত সফরের মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন অ্যান্ড কমোডিটিস মন্ত্রী ওয়াইবি দাতুক সেরি জোহারি বিন আবদুল গনির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর চাহিদা, উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ এবং মালয়েশিয়ার অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা টিসিবির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এক কোটি পরিবারের মধ্যে ন্যয্যমূল্যে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যাদি সরবরাহে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে মালয়েশিয়া থেকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় টিসিবির মাধ্যমে পরিশোধিত পাম অয়েল সরবরাহের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী তার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারি হতে বাণিজ্যিক (বি টু জি) ভিত্তিতে বাংলাদেশে পরিশোধিত পাম অয়েল সরবরাহের নিমিত্ত বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টার অনুরোধে সাড়া দিয়ে এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জোরালো আশ্বাস দেন।
এছাড়াও বৈঠকে রাবার খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা, সম্ভাব্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ প্রস্তাবিত কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে আলোচনা করেন।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকায় মালয়েশিয়া হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভিন, মালয়েশিয়ার কৃষি ও পণ্যমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইউসরিনুদ্দিন বিন আবদ করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।