আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
শীর্ষস্থানীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন (বিটিসি) ৮০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেটে পৌঁছেছে। এর আগে এই বিটকয়েন সর্বোচ্চ ৭৬ হাজার ডলারে উঠেছিল। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর প্রথমবারের মতো বিটকয়েনের দামে এই লম্বা লাফ।
প্রেসিডেন্ট পদ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর এবার কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে রিপাবলিকানরা। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানীতে পরিণত করবেন। এসবের জেরেই বিটকয়েনের দামে এই লম্বা লাফ।
বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম এ বছর ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ট্রাম্পের হাইপ্রোফাইল সমর্থক ইলন মাস্কের প্রচারণা পাওয়া ডোজকয়েনসজ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোও লাভ করছে।
নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি একটি কৌশলগত বিটকয়েন মজুত গড়ে তুলবেন। পাশাপাশি ডিজিটাল সম্পদবান্ধব আর্থিক নিয়ন্ত্রক নিয়োগ দেবেন। তার এ প্রতিশ্রুতি ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর বিধিনিষেধের কমানোর আশা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প আরও বলেছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম কাজগুলোর একটি হবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান গ্যারি গেন্সলারকে বরখাস্ত করা।
২০২১ সালে জো বাইডেন গ্যারি গেন্সলারকে নিয়োগ দেন। এরপরই গেন্সলার ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর এসইসির মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছেন।
স্টোনএক্স ফিন্যান্সিয়ালের বাজার বিশ্লেষক ম্যাট বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করে, তাহলে বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ডলার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন যে, এই পরিবর্তনগুলোর ফলে ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য তাৎক্ষণিক ওঠানামা করতে পারে—যা ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ট্রাম্পের এজেন্ডায় কর কমানো ও ব্যবসার ওপর নিয়ন্ত্রণ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি নির্বাচনে জেতার পর থেকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে।
সরকারের নির্বাহী বিভাগ তো রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে এসেছেই, আইনসভাও খুব সম্ভব তাদের নিয়ন্ত্রণেই আসছে। ফলে রিপাবলিকানরা ট্রাম্পের আইডিয়া কার্যকর করে আইন আকারে পাশ করার ক্ষমতা পাবে।
গত কয়েকদিনে প্রধান সব স্টক সূচক, ডলার ও মার্কিন বন্ডের মূল্যও বেড়েছে।