যুক্তরাষ্ট্রের লিড স্বীকৃতি পেল আরেক পোশাক কারখানা

নিউজ ডেস্ক :

৮৬ স্কোর করে ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) লিড (লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল ডিজাইন) প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত কটন ফিল্ড বিডি লিমিটেড কারখানা। এতে করে দেশে এখন লিড প্রত্যয়িত কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩০টি। যার মধ্যে ৯২টি কারখানা প্লাটিনাম রেটেড এবং ১২৪টি গোল্ড রেটেড। আরও প্রায় ৫০০টি কারখানা লিড সনদপ্রাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

বিজিএমইএ এর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে এই অগ্রগতি অর্জনে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই অসাধারণ অগ্রগতি টেকসই উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম তারই ইঙ্গিত বহন করে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ রেটযুক্ত লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ৬২টিরই আবাসস্থল। শুধু তাই নয় শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং সর্বোচ্চ রেটপ্রাপ্ত শীর্ষ ২০টি লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি কারখানা এস এম সোর্সিং লিমিটেড ১০৬ স্কোর করে বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ রেটযুক্ত লিড গ্রিন কারখানা হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে শীর্ষ ১০০টি লিড গ্রিন কারখানার তালিকায় চীনের ৩টি, ভারতের ৭টি, ভিয়েতনামের ৩টি, পাকিস্তানের ৮টি, তাইওয়ানের ৪টি, শ্রীলঙ্কার ৪টি, মায়ানমারের ২টি, ইন্দোনেশিয়ার ১টি, ইতালির ১টি, মেক্সিকোর ১টি, পোল্যান্ডের ১টি, প্যারাগুয়ের ১টি, রোমানিয়ার ১টি এবং আরব আমিরাতের ১টি কারখানা রয়েছে।

বাংলাদেশের লিড প্রত্যয়িত কারখানাগুলো প্রযুক্তি, উৎপাদন প্রক্রিয়া, ভৌত অবকাঠামো, করপোরেট ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক ও পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির প্রতিটি ক্ষেত্রে সেরা অনুশীলনীগুলো গ্রহণ করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে দিনের আলোর ব্যবহার, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা (রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং), ইনডোর এয়ার কোয়ালিটি, থার্মাল কন্ট্রোল, অটোমেটিক কেমিক্যাল ডিসপেনসিং, হাই ভলিউম লো স্পিড ফ্যান, সোলার প্যানেল, বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ইফলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (বর্জ্য শোধনাগার) ইত্যাদি।

কারখানাগুলো উৎপাদনে পানি ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, অপচয় হ্রাস, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও শ্রমিকদের অপ্রয়োজনীয় কায়িক পরিশ্রম কমিয়ে তাদের জন্য আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও দক্ষতা বাড়াতে প্রযুক্তি, মেশিন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ করেছে।

বিজিএমইএ সবুজ শিল্পায়নের পথ মসৃণ রাখতে বিভিন্ন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কর্মসূচি পরিচালনা করে শিল্পের রূপান্তরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিএমইএ ২০২১ ইউএসজিবিসি লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা অর্জন করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআদানির বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হবে : প্রেস সচিব
পরবর্তী নিবন্ধএকীভূত হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ