বিশ্বব্যাপী বাড়ছে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম

নিউজ ডেস্ক :
দাম কমার আশায় যখন ভোক্তারা, তখন বিশ্বব্যাপী উল্টো বেড়েছে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম। ফন্টেরার গুঁড়ো দুধসহ দুগ্ধজাতীয় পণ্যের দাম দুই সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মাখনের দাম।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে গ্লোবাল ডেইরি ট্রেড-জিডিটি জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাতীয় পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন ঘাটতি, আবার কখনও সরবরাহ কম থাকায় বেড়ে যায় এসব পণ্যের দাম।

সংস্থাটির নিলামের তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড বলছে, নভেম্বর মাসের প্রথম নিলামে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি। এ সময়ে ৩৬ হাজার ৫৯৫ টন দুগ্ধজাত পণ্য কেনাবেচা হয়েছে। প্রতি টনের গড় মূল্য পড়েছে ৩ হাজার ৯৯৭ ডলার।

নিলামে নিউজিল্যান্ডের কৃষকদের মালিকানাধীন বহুজাতিক ডেইরি প্রতিষ্ঠান ফন্টেরার ননিযুক্ত গুঁড়া দুধের দামে এবারের নিলামে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। টনপ্রতি গড়মূল্য পৌঁছেছে ৩ হাজার ৭১৩ ডলারে। তাদের ননিছাড়া গুঁড়া দুধের দামও ৪ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিটনের গড় মূল্য পড়েছে ২ হাজার ৮৫০ ডলার।

জিডিটি মূল্যসূচকে চলতি সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মাখনের দাম। পণ্যটির দাম ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৯০ ডলারে। বাটার মিল্ক পাউডারের দাম ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে উঠেছে ৩ হাজার ২৩৪ ডলারে।

অন্যদিকে, মোজারেলা পনিরের দাম দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি দাম ৪ হাজার ৬০৭ ডলারে পৌঁছেছে। চেডার পনিরের দাম ৪ শতাংশ বেড়ে গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৪ হাজার ৯৭৩ ডলারে।

চলতি সপ্তাহে অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাটের দামও বেড়েছে। এটির দাম ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৫৮ ডলারে। তবে দাম কমেছে ল্যাক্টোজের। এটির দাম ৬ দশমিক ১ শতাংশ কমে টনপ্রতি গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৪৩ ডলারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাকিবের ব্যাংক হিসাব জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ-ভারত সেনাপ্রধানের ভার্চুয়াল বৈঠক