ছোট ও মাঝারি আকারের ফ্ল্যাট খুঁজছেন ক্রেতারা

নিউজ ডেস্ক:
মেলা শুরুর দ্বিতীয় দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠছে রিহ্যাব ফেয়ার। আবাসন খাতের উদ্যোক্তাদের আয়োজনে রিহ্যাব ফেয়ার থেকে ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো ফ্ল্যাট ও কাঙ্ক্ষিত প্লটের বুকিং দিতে পারছেন। কেউ কেউ কিনে নিচ্ছেন রেডি ফ্ল্যাট। তবে ছোট ও মাঝারি আকারের ফ্ল্যাটের চাহিদা বেশি।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, এক ছাতার নিচে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান থাকায় রিহ্যাব ফেয়ার ঘিরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সবসময় বাড়তি আগ্রহ আছে। ভিড় বাড়ে সকাল থেকেই। এবারের ফেয়ার নিয়ে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। এছাড়া ফ্ল্যাট ও প্লট বুকিংয়ে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বিআইসিসিতে রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৪ এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ড. সিদ্দিকুর রহমান। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে কয়েক মাস ধরেই দ্রুত ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) সংশোধনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছিল। এ প্রসঙ্গটি টেনে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ড্যাপ সংশোধন করা হবে।

পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন খাতের এ মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলায় বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও অংশ নিয়েছে। আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ২০০১ সাল থেকে ঢাকায় রিহ্যাব হাউজিং ফেয়ার শুরু হয়। এটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত রিহ্যাবের ২৬তম ফেয়ার। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৫টি ফেয়ার সফলভাবে সম্পন্ন করেছে রিহ্যাব। রিহ্যাব ২০০৪ সাল থেকে বিদেশে হাউজিং ফেয়ার আয়োজন করে আসছে। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১২টি, যুক্তরাজ্যে, দুবাই, ইতালির রোম, কানাডা, সিডনি, কাতারে একটি করে এবং দুবাইতে দুটি রিহ্যাব হাউজিং ফেয়ার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এসব ফেয়ার আয়োজনের মাধ্যমে রিহ্যাব দেশ ও বিদেশে গৃহায়ন শিল্পের বাজার সৃষ্টি এবং তা প্রসারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে।

অন্যদিকে, প্রবাসী ক্রেতারা দেশে তাদের পছন্দের আবাসন খুঁজে পাচ্ছেন। আবার এই ফেয়ারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি গৃহায়ন শিল্প এবং লিংকেজ শিল্প বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে এই ফেয়ার।

এবার রিহ্যাব ফেয়ারে ২২০টি স্টল রয়েছে। এই ফেয়ারে ৫টি গোল্ড স্পন্সর, ১৮টি কো-স্পন্সর, ১৮টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১০ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারছেন। মেলায় প্রবেশে সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় পাঁচবার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ দুস্থদের জন্য কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির (সিএসআর) কাজে ব্যয় করা হবে। টিকিটের রাফেল ড্রতে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরূপালী ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম
পরবর্তী নিবন্ধওয়ালটন ও সেইফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের বার্ষিক ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্স অনুষ্ঠিত