বাজারে কমেছে সবজির দাম

নিউজ ডেস্ক:
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আলুর দাম ৫ টাকা কমেছে। পেঁয়াজ, চিনি, ছোলা ও শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।

এদিকে সবশেষ দেয়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নভেম্বর মাসের তথ্যে দেখা যায়, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় ১৪ শতাংশে উঠেছে। যার প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায়ও।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবারও বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা মঙ্গলবারে এসে ৫ টাকা কমেছে। সরবরাহ বাড়ায় শীতকালীন সবজির দামও কমেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউ পিস হিসেবে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি টমেটো ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা। একইভাবে প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১১০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ৫ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শীতকালীন সবজির জোগান বেড়েছে। ডিমের ওপর চাপ কিছুটা কম। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়, গত বুধবার থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। একইভাবে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি ছোলা ১২৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় ও প্রতিকেজি চিনি ১২৫ টাকা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজিতে।

এদিকে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫-১৯৫ টাকা, কক মুরগি ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০-৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকার ও ওজন অনুযায়ী, প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ৮০০-২২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৮০০ টাকা, শিং ৪০০-১২০০ টাকা, টেংরা ৫০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৯০০ টাকা, কাজলী মাছ ৮০০-১২০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০-৬০০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা, কাচকি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএনবিআরের রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে আইএমএফ
পরবর্তী নিবন্ধবেনাপোল দিয়ে ১৭ দিনে ১৬৫৫ টন চাল আমদানি