![157740_143](https://bankbimanews.com/wp-content/uploads/2025/02/157740_143-696x392.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে বাড়তি চাহিদার কথা বলে গরু ও মুরগির মাংসের দাম হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এর এক দিন পর চাহিদা কমায় দাম কমাতে বাধ্য হয়েছেন তারা। ফলে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে—গরু, মুরগি ও খাসির মাংস। এছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাদেক খান মার্কেট ও রায়ের বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। যা গতকাল শবে বরাতের দিন ৭৮০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। এক দিনের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম কমেছে ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া খাসির মাংস কেজি প্রতি ৫০ টাকা কমে ১১০০ টাকায় নেমে এসেছে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম গত ৪দিন আগেও ছিল প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। শবে বরাত উপলক্ষ্যে এক লাফে হয়েছে ২১০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বাড়লেও এক দিনের ব্যবধানে তা কমে আগের দরে বিক্রি করছেন দোকানিরা।
অপরদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পাঙাস ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪৬০ টাকা, শিং ৩২০ থেকে ৪০০ শত টাকা, চিংড়ি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, পোয়া ২৬০ টাকা, সইল ৭০০ টাকা, টাকি ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে গতকাল মাছে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
শবে বরাত উপলক্ষ্যে মাছ-মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হলেও, সবজির দামে প্রভাব পরেনি। আগের দামেই বিক্রি হয়েছে অধিকাংশ সবজি।
সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি টমেটো ২০ টাকা, আলু ২০ টাকা, বেগুন আকার অনুযায়ী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০ টাকা, দেশি শসা ৫০ টাকা, খিড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুল ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আদা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর রায়ের বাজারে আবুল কালাম নামে এক ক্রেতা বলেন, গতকাল শবে বরাত হিসেবে গরু কিনেছিলাম। দাম বেশি ছিল। আজকে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে আজকে মাছ কিনতে এসেছি। নিয়মিত দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। গতকাল রুই মাস দাম ৪০০ টাকা কেজি চেয়েছিল, আজকে ৩৫০ টাকা দিয়ে নিয়েছি।
সাদেক খান সবজি বাজারের সবজি বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, এখানে রাজধানীর অন্যান্য বাজার তুলনায় সবজির দাম কম থাকে। সে কারণে আমরা খুচরায় কমে বিক্রি করতে পারি।