রোহিঙ্গাদের পরিবার পরিকল্পনা সেবা দিতে ১৬২ কোটি টাকা অনুমোদন

নিউজ ডেস্ক:

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় এবং নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা দিতে ১৬২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ৭৮০ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সেই সঙ্গে ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প’ এর সিকিউরিটি অ্যান্ড সাপোর্ট অ্যামিনিটিজ (সি সাইড)-এর পূর্ত কাজের জন্য ৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ৪ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার এবং নোয়াখালী জেলায় মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত (এফডিএমএন) নাগরিকদের জন্য সমন্বিত যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা ক্রয়ের প্রস্তাব দেয় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।

প্রকল্পের সেবা ক্রয়ের জন্য সিঙ্গেল সোর্স সিলেকশন পদ্ধতিতে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) বরাবর আরএফপি আহ্বান করা হলে প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে। পিইসি’র প্রস্তাব উপযুক্ত বিবেচেনা করা হয়। পরবর্তীতে পিইসি নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা উপযুক্ত দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে ১৬২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ৭৮০ টাকায় এই প্রকল্পের সেবা ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

প্যাকেজের আওতায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় এবং নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হবে।

এদিকে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প’ এর সিকিউরিটি অ্যান্ড সাপোর্ট অ্যামিনিটিজ (সি সাইড)-এর পূর্ত কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এই পূর্ত কাজের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ৩টি প্রস্তাব আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ৪ হাজার ৪০০ টাকা।

প্যাকেজের আওতায় ২২.১০ কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর, ৩টি প্রবেশদ্বার, ৩টি গার্ডরুম, ২৫টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ২২.১০ কিলোমিটার মাটির বাঁধ কাম হেরিং বোন বন্ড রাস্তা নির্মাণ এবং রাস্তা বরাবর স্ট্রীট লাইট স্থাপন করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেয়ারবাজারে আস্থা বাড়াতে বিনিয়োগ সচেতনতা উন্নয়নসহ ৬ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ
পরবর্তী নিবন্ধরাশিয়া-সৌদি থেকে আসবে ৭০ হাজার টন সার, ব্যয় ৪৫২ কোটি টাকা