
নিউজ ডেস্ক:
সৌরবিদ্যুৎ থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন করে বিশ্বের খ্যাতনামা পোশাক বিপণনকারী সুইডিশ ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএমকে (হেন্স অ্যান্ড মরিটজ) সরবরাহ করবে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। পাশাপাশি নিজস্ব প্রতিষ্ঠানেও ক্রমান্বয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো হবে। সেজন্য এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চলমান বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন’ শীর্ষক টেকনিক্যাল সেশনে তিনি এ কথা জানান।
এরআগে এইচঅ্যান্ডএম, প্রাণ-আরএফএল ও আইএফসির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। যে চুক্তির আওতায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ কিনবে এইচঅ্যান্ডএমের পোশাক সরবরাহকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। আর এ বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)।
টেকনিক্যাল সেশনে আহসান খান চৌধুরী বলেন, টেকসই ব্যবসার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকেই যেতে হবে। কারণ, পৃথিবীজুড়ে সাধারণ জ্বালানিগুলোর দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। প্রাণ-আরএফএল সবসময় সীমিত সম্পদের উত্তম ও টেকসই ব্যবহারে বিশ্বাসী।
‘পরিবেশের ওপর প্রভাব কমাতে আমরা সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিক্রির পাশাপাশি নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে সেগুলোর ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়াবো।’
তিনি বলেন, এটি এখন একটি বড় খাত। কারণ, বিশ্বের বড় ক্রেতারা কার্বন নিঃসরণ টেকসই উৎপাদনব্যবস্থার দিকে নজর দিচ্ছেন। এর মধ্যে এইচঅ্যান্ডএম পরিবেশের ওপর প্রভাব কমাতে এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকেও মনোযোগ দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশের একটি কোম্পানি হিসেবে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের সে সুযোগ নিয়েছি। এদেশে আমরা আরও বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।
আহসান খান চৌধুরী বলেন, একটি সুন্দর ও সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ নিজস্ব যে টেকসই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তার প্রতিশ্রুতি হিসেবে আমাদের এ খাতে বিনিয়োগ। এছাড়া সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা পাশে থাকতে চাই। বর্তমানে সারাবিশ্ব টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। আমরাও এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মৌলভীবাজারের গোবিন্দপুরে সমন্বিত কৃষি খামার রয়েছে, যেখানে মাছ চাষ করা হচ্ছে। সেখানে সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। শুরুতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ শুরু হবে। এক্ষেত্রে সরকারকে বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহের জন্য নীতি সহায়তা দিতে হবে।
আহসান খান চৌধুরী বলেন, সরকার এ খাতে সঠিক সহায়তা দিলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাবো। যা পরিবেশ ও টেকসই বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হবে।