
নিউজ ডেস্ক:
নানা সমস্যায় জর্জরিত পুঁজিবাজারে আস্থাহীনতায় ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা। এমন অবস্থায় গত কার্যদিবসের মতো আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন প্রধান সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্টের বেশি। অন্যদিকে টাকার অংকে লেনদেন নেমেছে ২০০ কোটির নিচে। ধারাবাহিক পতন ঠৈকাতে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বৈঠকের খবরে বিনিয়োগকারীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। তবে বৈঠক শেষে আশাহত হয়েছেন তাঁরা। আবারও পতনের ধারায় ফিরছে দেশের পুঁজিবাজার।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত ৯ মাসে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে কার্যকর কিছু দেখাতে পারেনি। এরপরও প্রধান উপদষ্টো যখন পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকের উদ্যোগ নিলেন, তখন সবার ভেতরে আশা জেগেছিল, ভালো কিছু হবে। কিন্তু যেভাবে, যাদের নিয়ে তিনি বৈঠক করলেন এবং যেসব নির্দেশনা দিলেন, তাতে সবাই হতাশ হয়েছেন। বিনিয়োগকারীদের মনে আস্থাহীনতার মেঘ আরও গাঢ় হয়েছে, যার প্রভাব দেখা গেছে গতকাল মঙ্গলবারের লেনদেনে।
বুধবার (১৪ মে) লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) দর পতনের মুখে পড়ে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৩৮ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৩৫ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ১০ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে ১০৫৩ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৭ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে ১৭৯১ পয়েন্টে অবস্থান করেছে।
আজ ডিএসইতে ২৯৪ কোটি ১৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৩৪৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টি কোম্পানির, বিপরীতে ২৯২ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।