
নিউজ ডেস্ক;
শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২১ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই কর্মচারীর ব্যাখ্যা তলবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৫৪তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিএসইসি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কমিশনের চাকরিবিধিসহ শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিএসইসির ২১ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত ও দুই কর্মচারীকে ব্যাখ্যা তলবের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ কমিশনের ওয়েবসাইটের মিডিয়া রুম মেনুর অফিস আদেশ অংশে রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কর্মচারী বিধিমালা, ২০২১ যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডিএসই ও সিএসইর ২৯১টি ডুয়েল ট্রেক হোল্ডারের মধ্যে ইতোমধ্যে ১১৩টি ট্রেক হোল্ডার কর্তৃক অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৭৮টি ট্রেক হোল্ডার কর্তৃক অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া সিএসইর ৮২টি সিঙ্গেল ট্রেক হোল্ডারের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৮টি ট্রেক হোল্ডার কর্তৃক অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৫টি ট্রেক হোল্ডার কর্তৃক অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে সার্বিক বিবেচনায় কমিশন অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়নোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা-জবাবদিহি বৃদ্ধির সাথে সাথে সিডিবিএলে রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের তথ্য ও স্টক ব্রোকারের নিকট রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের তথ্যের মধ্যকার গড়মিল হ্রাস পাবে- বলে জানিয়েছে বিএসইসি।