ঈদের আগে শেষ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দর পতনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচকের সাথে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। এদিন ব্রোকার হাউজগুলো ছিল প্রায় বিনিয়োগকারী শূন্য। আর যারা এসেছেন তারা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি। ফলে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। ঈদের আগে শেষ লেনদেনের দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূচক কমেছে ১৩৮ পয়েন্ট।
এবিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, বিনিয়োগকারীরা এখন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত। ফলে সকাল থেকেই বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কম ছিল। আর ফোনেও শেয়ার কেনা-বেচা কম হয়েছে। এবিষয়ে শাকিল রিজভী সিকিউরিটিজ এক কর্মকতা বলেন, সকালে বিনিয়েগকারীদের উপস্থিতি কিছু ছিল। কিন্তু দুপুর থেকে বিনিয়োগকারী হাউজে কমতে থাকে। সকালে যারা এসেছিলেন বেশির ভাগই শেয়ার বিক্রি করেছে। ফলে শেয়ার বিক্রির চাপে দরপতন হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের মাত্র ২০ কোটি ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭২টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪১টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২১ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৬৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৬ পয়েন্ট, আর ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট। ডিএসইতে ৮৬৯ কোটি ৮১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৩২ কোটি ৪৯ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৬২ কোটি টাকা। এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সোনালী পেপারের শেয়ার। এরপর লেনদেন হয় বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। তারপর যথাক্রমে রয়েছে ইউনিক হোটেল, জেএমআই হসপিটাল, আইপিডিসি, বিএসসি, লাফার্জহোলসিম, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা এবং কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৮ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সিএসইতে ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৮৪টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। তাতে ৩৫ কোটি ২১ লাখ ২৩ হাজার ৯২৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৫ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের নিলাম
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান