মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা ১১ কোটি ছুঁই ছুঁই

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা, বাড়ছে লেনদেনও। করোনাকালীন সময়ে এ সেবার ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে করোনার প্রকোপ কমলেও কমেনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেন। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ১১ কোটি ছুঁই ছুঁই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ১১ কোটি ছুঁই ছুঁই অর্থাৎ ১০ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৪০৫ জন। এসব গ্রাহকের মধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে রয়েছে ৫ কোটি ৬৬ লাখ আর শহরঞ্চলে রয়েছে ৫ কোটি ২৪ লাখ। এসময়ে পুরুষ গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার এবং নারী গ্রাহক ৪ কোটি ৫৬ লাখ ২৬ হাজার। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩ জন।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবা। ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে কর্মীদের বেতন পরিশোধ। এছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, নগদ, বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়সহ ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। গত বছরের একই মাসে (২০২১ সালের মার্চ মাস) এ মাধ্যমে বেতন পরিশোধ হয় ২ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যম বেতন পরিশোধের হার বেড়েছে ২৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বা এমএফএসের মাধ্যমে বেড়েছে লেনদেন। আলোচিত সময়ে এ সেবার মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে ৭৭ হাজার ২১ কোটি টাকা। ২০২১ সালের মার্চ মাসে লেনদেন হয়েছিল ৫৯ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২৯ শতাংশের বেশি।

চলতি বছরের মার্চ মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্যাশ ইন হয়েছে ২৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা এবং ক্যাশ আউট ২০ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসেবে লেনদেন হয়েছে ২২ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, পরিষেবার ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা, বিল পরিশোধ এবং কেনাকাটায় লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতের গম রপ্তানি বন্ধ , বিশ্ববাজারে দাম বাড়লো ৬ শতাংশ
পরবর্তী নিবন্ধএসআইবিএলর শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু