নিজস্ব প্রতিবেদক : ডলার বাঁচাতে সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন)-এর বাইরে হংকং ও সিঙ্গাপুর থেকে নতুন পেমেন্ট সিস্টেমে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
এজন্য দেশ দুটির চালু করা নতুন পেমেন্ট সিস্টেম খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম হংকং ও সিঙ্গাপুরের চালু করা নতুন পেমেন্ট সিস্টেম বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের কাছে কিছু ইনফরমেশন এসেছে, সুইফট’র বাইরে হংকং এবং সিঙ্গাপুর নতুন কিছু পেমেন্ট সিস্টেম ডেভলপ করেছে। যেগুলো মাচ মোর কমফোর্টেবল। সেগুলো একটু এক্সপ্লোর করতে বলা হয়েছে।
নতুন পেমেন্ট সিস্টেমগুলো সম্পর্কে জানতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ওখানে (বৈঠকে) ছিলেন। তিনি এরইমধ্যে এগুলো নিয়ে বসেছেন। উনাকে কয়েকদিন সময় দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হংকং থেকে ৪-৫ বিলিয়ন ডলারের একটি ফান্ডিং (অর্থ) তারা নিয়ে আসছে। শুধু বাংলাদেশের জন্য না, তারা বলছে তোমরা যদি আমাদের সঙ্গে চুক্তিতে আসো, তাহলে তোমরা যখন এলসি ওপেন করবে, সেই এলসির বিপরীতে আমরা খুবই কম রেট অফ ইন্টারেস্টে প্রডিউসারকে পে করে দেবো।
‘তারপর তোমরা যখন এক্সপোর্ট (রপ্তানি) করবে, আইদার তুমি আমাকে ক্যাশে পরিশোধ করতে পারো, অথবা তুমি যদি এক্সপোর্ট করো… এগুলো গার্মেন্টসের জন্য খুবই সুবিধা। যখন এক্সপোর্ট করবে তখন আমার যে টাকাটা তোমার এক্সপোর্ট পেমেন্টের, সেটা আমার কাছে যাবে, আর তোমার এক্সসেস টাকা তোমার দেশে চলে যাবে। তাহলে ডলারও ইনটেক রয়ে গেলো।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, এ রকম কিছু সুবিধা সিঙ্গাপুর থেকেও অফার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এরইমধ্যে এটা নিয়ে কাজ করছে। আমি গতকাল ওনাদের (বাংলাদেশ ব্যাংক) সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, আমরা যেন একটু কমফোর্টেবলি যেতে পারি।