নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমরা দেশের কল্যাণের জন্য দৌড়াচ্ছে, দারিদ্র্য তাড়ানোর জন্য দৌড়াচ্ছি, ক্ষুধা-দারিদ্র্য দূর করার জন্য দৌড়াচ্ছি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য দৌড়াচ্ছি।
শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর হোটেল লেকশোরে ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগে অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গ্রামের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষ ধন-সম্পদ চায় না। গ্রামের মানুষ সুপেয় পানি চায়, আলো চায়, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন চায়, গ্রামের মানুষ সড়ক চায়। আমি কথা রেখেছি, গ্রামের মানুষের জন্য এসব করেছি। আর এটা সম্ভব হয়েছে বর্তমানে জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার থাকার কারণে। হাওরের মানুষকে দুই হাত ভরে আশীর্বাদ দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী, যার সঙ্গে আমরাও দৌড়াচ্ছি।
তিনি বলেন, ১৯৬৬ সালে একবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম। চালকসহ মোট যাত্রী ছিলাম ২৪ জন। এর মধ্যে ২৩ জনই মারা যান, একমাত্র আমি বেঁচেছিলাম বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
ঘটনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেদিন ছিল ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দুই তারিখ, বুধবার। আমেরিকার সাহায্য সংস্থা কেয়ারের ঢাকা অফিসে চাকরি করতাম। আমাকে ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া পাঠানো হলো। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা পিআইএ তখন কিছু হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করেছিল, যা তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে যাত্রী পরিবহন করত। দুপুর দুইটা নাগাদ কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারে উঠি। ওই হেলিকপ্টারে সব মিলিয়ে ২৪ জনের মতো যাত্রী ছিল। হেলিকপ্টারটি ঢাকা থেকে প্রথমে ফরিদপুর হয়ে পরে কুষ্টিয়া যাওয়ার কথা। ফরিদপুরের কাছাকাছি যখন হেলিকপ্টারটি পৌঁছায় তখন ওপর থেকে বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।
মুহূর্তের মধ্যেই হেলিকপ্টারটি ঘুরতে-ঘুরতে মাটিতে পড়ে যায়। আমি তখন আল্লাহকে ডাকছিলাম আর মায়ের কথা ভাবছিলাম। মাটিতে পড়ার পর ওই হেলিকপ্টারের মধ্যে প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। প্রাণপণ চেষ্টায় বেঁচে আছি। এই জীবনে চাওয়া ও পাওয়ার কিছু নেই। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, বলেন এম এ মান্নান।
রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমি গ্রামের ছেলে, নিম্নআয়ের পরিবার থেকে উঠে এসেছি। জীবনের তাগিদে ব্যবসা-চাকরি করেছি। গ্রামের মানুষের কষ্টের কথা বুঝি, হাওরের সন্তান হিসেবে এই অঞ্চলের মানুষের কষ্ট আমাকে পীড়া দেয়। এর পরে জনগণের কল্যাণে গ্রামে ভোট চাইতে গেলাম। আমি বড় পরিবারের সন্তান নই। ছাত্রলীগ-যুবলীগ কেউ আমাকে তখন চেনে না। আমি সবাইকে বললাম আমাকে ভোট দেন ভাগ বাটোয়ারা করে কিছু করব না। আপনাদের কল্যাণে কাজ করব। আমি আপনাদের জন্য কাজ করব। সবাই আমাকে বিশ্বাস করল। পরপর তিনবার বিজয়ী হয়েছি। গ্রামের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি।
তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম, এশীয়ান ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ প্রমুখ সংলাপে অংশ নেন।