নিজস্ব প্রতিবেদক : মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে হিসাব করলে পদ্মাসেতু নির্মাণ খরচ বাড়েনি, এটা মূল খরচেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০ হাজার ৮৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একনেক সভা শেষে সেতুর খরচ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪ জুলাই ২০০১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। তখন ব্যয় ছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। অনেকে বলছে এখন ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা হলো কেন? প্রায় ১৩ বছর পেরিয়ে গেছে প্রকল্প শুরুর পর। অর্থনীতির ভাষায় প্রতি পাঁচ বছরে মূল্যস্ফীতি ডাবল হয়। এসব কারণে এটা বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি ধরলে ব্যয় ঠিক হয়েছে। ১৩ বছর বড় সময়। এ কারণে ব্যয় বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি ধরলে মূল খরচই হয়েছে।
একনেক সভা শেষে ড. শামসুল আলম আরও বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। কেউ কেউ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। তবে দুর্নীতি কানাডার কোর্টে প্রমাণ হয়নি। অনেকে সেতু নির্মাণে বাধা দিয়েছে। নানা কারণে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করেছি। প্রতিকূল অবস্থায় সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর আবেগ ও উচ্ছ্বাসের ব্যাপার।