নিজস্ব প্রতিবেদক : শহর বা গ্রাম, দেশের যে কোনো অঞ্চল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পাঠানোর অন্যতম একটি মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং। শুধু টাকা পাঠানো নয়, দৈনন্দিন কেনাকাটা, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধও করা যাচ্ছে। এছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতনও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দিচ্ছে।
আর এসব কারণে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবার পরিধি বাড়ছে। বর্তমানে বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশসহ মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক সেবা দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, টাকা জমা-উত্তোলন, স্থানান্তর, বিল পরিশোধ মিলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছে ৯৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। যা গত বছরে (২০২১ সাল) একই সময়ের (এপ্রিল) চেয়ে ৪৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। গতবছর এপ্রিলে এ সেবায় লেনদেন হয়েছিল ৬৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের এ লেনদেন একক মাস হিসেবে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এর আগে একক মাস হিসেবে চলতি বছরের মার্চে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল ৭৭ হাজার ৩০২ কোটি টাকা।
চলতি বছরের এপ্রিল শেষে এ খাতে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩০, যা ২০২১ সালের একই সময়ে ছিল ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭২ জন।
এসব নিবন্ধিত গ্রাহকের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার এবং নারী ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন। আর মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫২টি।
আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ক্যাশ ইন অর্থাৎ টাকা পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা এবং ক্যাশ আউট বা উত্তোলন হয়েছে ২৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।
ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২৬ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ ৫ হাজার ৩১ কোটি টাকা, বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধ ১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা এবং কেনাকাটার ২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।