নিজস্ব প্রতিবেদক : খোলাবাজারে ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমেছে। একদিনের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা।
প্রতি ডলার ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ঢাকার মানি চেঞ্জার ও খোলাবাজার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মার্কিন ডলারের দাম ঈদের আগে ও পরে ১০০ থেকে ১০২ টাকার মধ্যে বেচাকেনা চলছিল। কিন্তু এখন সেটি বেড়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১০ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছে।
মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডলারের দাম ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জামান মানি এক্সচেঞ্জ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ডলার ১০৮ টাকা ৮০ পয়সায় কিনে ২০ পয়সা ব্যবধানে ১০৯ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে সংকটের কারণে ডলারের দাম আজ ১১০ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মঙ্গলবার সকালে ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা করে কিনে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে। দুপুরের পর ডলার ১১০ টাকা থেকে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করেছি বলে জানান রেইনবো মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, ডলারের সংকটের কারণে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। যাও পাওয়া যাচ্ছে, বিক্রেতারা বেশি দাম চাচ্ছেন।
আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলেও ডলারের দাম বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। রপ্তানি বাড়লেও প্রবাসী আয় কমেছে। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি ডলারের জন্য খরচ করতে হচ্ছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা।
গত এক মাসের ব্যবধানে আন্তঃব্যাংকে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে পাঁচ শতাংশের বেশি। আর এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ।
খোলাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে ৯৮ টাকা ডলার প্রতি বিক্রি হলেও গত সপ্তাহের শুরুতে এর দাম ওঠে ১০০ টাকা। গত বুধবার ডলার বিক্রি হয় ১০২ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।