নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে দেশি–বিদেশি ছয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- ডাচ্–বাংলা, সাউথ ইস্ট, প্রাইম, দি সিটি, ব্র্যাক ও বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
বুধবার (১৭ আগস্ট) এসব ব্যাংকের এমডি কাছে এ তলব নোটিশের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করে অতিরিক্ত মুনাফা করার অভিযোগে উল্লিখিত ব্যাংকগুলোর ট্রেজারিপ্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ছয় ব্যাংকের ডলার কারসাজিতে কারা জড়িত, সেটি জানাতে বলা হয়েছে চিটিতে। ব্যাখা তলবের পর তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডলারের দাম বাড়ানোর পেছনে কারসাজির প্রমাণ পাওয়ায় গত ৮ আগস্ট ছয় ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ঘটানোর অভিযোাগে তাদের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ বিষয়ে গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, যারা খোলাবাজারে ডলারের অবৈধ ব্যবসা করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪৫ মানি এক্সচেঞ্জকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের পাশাপাশি আরও নয়টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স না নিয়েই ব্যবসা করে আসছিল।
সম্প্রতি খোলা বাজারে ডলারের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ১০ আগস্ট খুচরা বাজারে প্রতি ডলারের বিনিময় হার পৌঁছে ১২০ টাকায়। রেকর্ড পরিমাণ দাম দিয়েও বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ডলারের জোগান না থাকার অভিযোগ ওঠে। তবে এ সপ্তাহের শুরু থেকে খোলা বাজারে ডলারের দাম কমতে শুরু করে। ফলে বাজার চাঙ্গা করে বেশি দামে কেনা ডলারের মজুতকারীরা এখন লোকসানের আশঙ্কায়।