নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে উপকূলীয় এলাকায় বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশকে নিয়ে ‘বাংলাদেশ: এনহ্যান্সিং কোস্টাল রেজিলেন্স ইন এ চেঞ্জিং ক্লাইমেট’ শীর্ষক প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের একটি নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জলালবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে দেশের উন্নয়নকে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন করার জন্য আরও পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়। কীভাবে সরকার এসব ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে এবং নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে তা দেখানো হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে নানা পদক্ষেপ ও সমাধানের কথা বলা হয় প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, জলবায়ু সংক্রান্ত ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ বৈশ্বিক পরিসরে দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ জীবন বাঁচায়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হ্রাস করে এবং উন্নয়ন টেকসই করা যায়। এটি সম্ভব হয়েছে একটি কৌশলগত নীতি কাঠামোর মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়জনিত প্রাণহানির সংখ্যা ১০০ গুন কমিয়েছে।
‘তবে দ্রুত ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, পরিবেশগত অবক্ষয় এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকি উপকূলীয় অঞ্চলে নানা সমস্যা তৈরি করছে। প্রাকৃতিক এবং অবকাঠামো ব্যবস্থার ওপর ভর করে উপকূলে ৪০ মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল। টেকসই উন্নত করতে বাংলাদেশকে আরও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন বলেন, উপকূলীয় টেকসই উন্নয়ন একটি স্থির লক্ষ্যমাত্রা নয়, বরং পরিবর্তনশীল অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে সমন্বয় খুঁজে পাওয়া জরুরি। এটিই অন্যতম পন্থা উপকূলে টিকে থাকার। বাংলাদেশে টেকসই উপকূল বিনির্মাণ ও ঝুঁকি কমাতে গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের পাশে বিশ্বব্যাংক। দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশে দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং উপকূলে টেকসই উন্নয়নে দারুণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের মূল্যবান অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারে অন্যান্য দেশ। জলবায়ু-সংরক্ষিত দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ একটি অনুপ্রেরণা।