নিজস্ব প্রতিবেদক : পদবঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের একাংশ। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। চলাচল করেনি শাটল ট্রেন-বাস। স্থগিত করা হয়েছে বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস-পরীক্ষা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরসহ বিভিন্ন বিভিন্ন দপ্তরে তালা দিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছয়টি উপগ্রুপ অবরোধে অংশ নেয়। এগুলো হলো- ভিএক্স, কনকর্ড, আরএস, বাংলার মুখ, এপিটাফ ও উল্কা। সবগুলো গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।
পদবিঞ্চত একাদিক নেতা জানান, পদবঞ্চিত, ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটি বর্ধিতকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদ পুনঃমূল্যায়ন ও পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণ এ তিনটি দাবি করে আসছি।
ষোলশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অবরোধের কারণে সকাল সাড়ে ৭টা ও ৮টার শাটল ট্রেন চলাচল করেনি। চালকরা প্রশাসনের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। বিষয়টি সুরাহা হলে স্বাভাবিক শিডিউলেই শাটল চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রকিবুল হাসান দিনার বলেন, পদবঞ্চিতরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করছেন। তিনটি দাবিতে এ আন্দোলন। দাবি পূরণ না হলে আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসবো না। দীর্ঘদিন থেকেই আমরা নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন কমিটি বর্ধিত করবেন। কিন্তু এখন তিনি উল্টো হল ও ফ্যাকাল্টি কমিটি দেওয়ার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। তাই আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কমিটির দাবিতো আমরা পূরণ করতে পারবো না। এর জন্য তাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। ঠুনকো কারণে এভাবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলার এখতিয়ার তাদের নেই। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।
এর আগে তিন বছর পর ৩১ জুলাই চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে পদবঞ্চিতরা।