আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, ইউক্রেনকে আরও ৫৩ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। বিশ্ব ব্যাংকের এই সহায়তা আসবে যুক্তরাজ্য এবং ডেনমার্ক থেকে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটি এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে ১ হাজার ৩শ কোটি ডলার সহায়তা পাচ্ছে। এক বিবৃতিতে বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যুক্তরাজ্য ৫০ কোটি ডলার এবং ডেনমার্ক ৩ কোটি ডলার সহায়তা দেবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে সংঘাত এখনও চলছেই। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে মোট এক হাজার ৩শ কোটি ডলারের মধ্যে এক হাজার একশ কোটি ডলার সম্পূর্ণভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের পূর্ব ইউরোপে আঞ্চলিক পরিচালক অরুপ ব্যানার্জি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, আগামী তিন বছরের জন্য ইউক্রেনের পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের মোট দীর্ঘমেয়াদী খরচ হবে ১০ হাজার ডলারের বেশি।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর পরই দেশটিতে মানবিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে একমত প্রকাশ করে যুক্তরাজ্য এবং আরও ২৫ দেশ। আগস্টের শেষের দিকে ইউক্রেনকে নতুন করে আরও ৩০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। কিয়েভকে ইতোমধ্যেই একের পর এক সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের মহাপরিচালককে আটক করেছে রাশিয়া। ওই পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রীয় সংস্থা এনারগোটম শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওই সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে এনেরহোদার শহরে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু শক্তি কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে এর মহাপরিচালক ইহোর মুরাশোভকে আটক করা হয়। তাকে তার গাড়ি থেকে বের করা হয় এবং চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের অধিকৃত চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মস্কো থেকে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি। পুতিন বলেছেন, ওই চার অঞ্চলের জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। ফলাফল সবারই খুব ভালোভাবে জানা।
ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসনকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রশ্নে গণভোট শুরু হয়েছিল গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর)। পাঁচদিন ধরে চলে এই ভোট। এতে ব্যালটবক্স নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যান রাশিয়ার নিয়োগ দেওয়া নির্বাচনী কর্মকর্তারা। গণভোটে ৯৬ শতাংশ মানুষ রাশিয়ায় যোগদানের পক্ষে মত দিয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। যদিও এই ভোট এবং এর ফলাফল অস্বীকার করেছে ইউক্রেন ও পশ্চিমারা।