হংকংয়ের দিকে ঝুঁকছে রাশিয়ার বাণিজ্যিক ফার্মগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা অর্থনীতির কেন্দ্রগুলো রাশিয়ার জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প খুঁজছে দেশটির বাণিজ্যিক ফার্মগুলো। মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্বেগ, এশিয়ান হাব হংকং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনুমোদিত ব্যবসার একটি আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে।

হংকংয়ের ওএনসি আইনজীবীদের ব্যবস্থাপনা অংশীদার শেরম্যান ইয়ান বলেছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন, রাশিয়ান কোম্পানিগুলোসহ বেশ কয়েকটি প্রধান কোম্পানি হংকংয়ের আইনী সংস্থাগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে যাতে তারা নিউইয়র্ক ও লন্ডনের মতো জায়গাগুলোর তুলনায় ‘বন্ধুত্বপূর্ণ এখতিয়ার’ পায় এবং ব্যবসার জন্য সহায়ক হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র জানিয়েছে, চীনা ভূখণ্ডের অন্তত দুটি আইনী সংস্থার সঙ্গে রাশিয়ান সংস্থাগুলোর যোগাযোগ করা হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি শহরে মূলধন বাড়ানোর বিষয়ে অনুসন্ধান করছে।

ইয়ান আরো বলেছেন, ‘রাশিয়ান কোম্পানীর কাছ থেকে কিছু কার্যক্রম হংকংয়ে স্থানান্তর করার আগ্রহ অবশ্যই বাড়ছে। রাশিয়ান ক্লায়েন্টদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করছে। তিনি বলেন, কেউ কেউ হংকংয়ে নির্দিষ্ট নিবন্ধন পরিবর্তন করতে চাইছেন।

ইয়ান বলেন, ওএনসি আইনজীবীরা নিষেধাজ্ঞা ও মানি লন্ডারিং ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকার করছেন।

চীন সরকার মস্কোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য হংকং রাশিয়ান সংস্থাগুলোর জন্য উন্মুক্ত হতে পারে। ইউরোপে রাশিয়ার এক ধনকুবেরের বিলাশবহুল প্রমোদতরী জব্দ করা হয়। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছেন অ্যালেক্সি মোর্দাশভ নামেও এক ধনকুবের। যিনি ইস্পাত প্রস্তুতকারক সেভারস্টাল পিজেএসসির বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার এবং রাশিয়ার তৃতীয় ধনী ব্যক্তি। গত সপ্তাহে হংকংয়ের জলে নোঙর করেছেন তার প্রমোদতরী।

তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে যে শহরের ব্যাংক ও নিরীক্ষকরা নিষেধাজ্ঞার হুমকির কারণে রাশিয়ান সংস্থাগুলোর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ইচ্ছুক হবে কিনা।

এ সপ্তাহের শেষে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিষেধাজ্ঞা এড়াতে হংকংকে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে হংকংয়ের খ্যাতি নির্ভর করে আন্তর্জাতিক আইন ও মান মেনে চলার ওপর। নিষেধাজ্ঞা এড়ানো ব্যক্তিদের দ্বারা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে হংকংয়ের সম্ভাব্য ব্যবহার ব্যবসায়িক পরিবেশের স্বচ্ছতাকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করে’।

ধনী রাশিয়ান ও সংস্থাগুলো নিষেধাজ্ঞা এড়াতে অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের দিকেও নজর দিচ্ছে। বিশেষ করে দুবাইতে রাশিয়ান পণ্য ব্যবসায়ীরা ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য ছুটে যাচ্ছেন।

সূত্র: ব্লুমবার্গ

পূর্ববর্তী নিবন্ধভিসতা টিভিতে ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ২৫ শতাংশ ছাড়
পরবর্তী নিবন্ধশেয়ারবাজারের সেরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ পুরস্কার পেলো ১১ প্রতিষ্ঠান