দেশের জনসংখ্যার তুলনায় বীমা গ্রাহকের সংখ্যা খুবই কম: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে দেশের জনসংখ্যার তুলনায় বীমা গ্রাহকের সংখ্যা খুবই কম উল্লেখ করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেছেন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হতে এটাকে বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু বীমা খাতে সেটা আমরা করতে পারি নাই। এতো বীমা কর্মী থাকার পরও জিডিপিতে আমাদের অবদান নাই বললেই চলে। এটা আমাদের ব্যর্থতা। শনিবার কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীমা কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী। মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, আমাদের এই অবস্থার পিছনে কারণ- বীমার প্রতি মানুষের আস্থা নেই। বীমার প্রিমিয়াম নেয়ার ক্ষেত্রে যতটা উৎসাহিত করি, পলিসি করার পর সেটা আর করি না। তিনি বলেন, গ্রাহকসেবা না দিয়ে প্রতারনা করলে এ সেক্টর দাঁড়াবে না।

গ্রাহককে দেয়া প্রতিশ্রুতি আমাদের রক্ষা করতে হবে। যারা ভালো কাজ করবে তাদের প্রশংসা করব। আর যারা ভালো কাজ করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবো। আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আগামী বছর থেকে বীমা কোম্পানিগুলোর র‌্যাংকিং তৈরি করব। কোন বীমা কোম্পানি কি রকম তা র‌্যাংকিং এর মাধ্যমে বোঝা যাবে। শুধু প্রিমিয়াম আদায়ের ওপর এই র‌্যাংকিং করা হবে না, সব বিষয় দেখে করা হবে। মূল যে বিষয়গুলো দেখা হবে, তার মধ্যে অন্যতম- মানুষের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কিনা সেটা। বীমা কর্মীদের উদ্দেশ্যে জয়নুল বারী বলেন, মাঠকর্মীরাই নতুন পলিসি করেন, নতুন গ্রাহক তৈরি করেন। এই মাঠকর্মীরাই বীমা কোম্পানির প্রাণ। মাঠকর্মীরা অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। আপনাদের জমা করা টাকাই বিনিয়োগ করা হয়। সেই বিনিয়োগ থেকে হয় কর্মসংস্থান। পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বীমা দাবি পরিশোধের হার ভালো বলেও মন্তব্য করেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেপ্টেম্বরে চা উৎপাদনের রেকর্ড
পরবর্তী নিবন্ধপপুলার লাইফ ৩৯ লাখ গ্রাহককে বীমা দাবি পরিশোধ করেছে: এমডি বিএম ইউসুফ আলী