যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক সংকট: বেড়েছে সরকারি ঋণ, কমেছে কেনা-বেচা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে সরকারি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। সেই সঙ্গে আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে খুচরা কেনা-বেচার পরিমাণ। খবর আল জাজিরার।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) প্রকাশিত দেশটির একটি অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা, লিজ ট্রাসের পদত্যাগ ও ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের ক্রমাগত দরপতনের মধ্যেই দেশটিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সরকারি ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে দেশটির সরকারি ঋণের দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন পাউন্ডে, যা দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস পদত্যাগ করার খবর প্রকাশ্যে এলে পাউন্ডের দর কমে ১ দশমিক ১১ ডলারে নেমে আসে। তবে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লোকসান কাটিয়ে প্রতি পাউন্ডের দর প্রায় ১ দশমিক ১২ ডলার পর্যন্ত ওঠে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রতি পাউন্ডের দর ছিল ১ দশমিক ১৩ ডলার।

অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বেশ কয়েক মাস ধরেই কেনা-কাটা কমিয়ে দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এর হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে, যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। এর আগে গত আগস্টে খুচরা কেনা-বেচার হার কমেছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রুথ গ্রেগরির মতে, যুক্তরাজ্য যে পরিমাণ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাতে ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের জন্য দেশ চালানো খুব একটা সহজ হবে না। বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতির অবস্থা এমন থাকলে পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর) অর্থনীতিবিদ পুষ্পেন সিংয়ের মতে, শুধু সেপ্টেম্বরেই যুক্তরাজ্যের ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। বৃহৎ একটি অর্থনীতি যখন ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিতে ভোগে তখনই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

যুক্তরাজ্যের সরকারি ঋণ মূলত দেশটির খুচরা কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত যা, দেশটির অর্থনীতির ১২.৬ শতাংশ জুড়ে আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক ডিআইজি প্রিজনস বজলুরের ৫ বছরের কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধশরীয়তপুরের গোসাইরহাটে সেতুর সঙ্গে লঞ্চের ধাক্কা লেগে ৩ যাত্রী নিহত