নিজস্ব প্রতিবেদক : সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে রাজধানী দৃষ্টিনন্দন, নিরাপদ বাসযোগ্য ও টেকসই শহর হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স ভবনে ‘বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে ‘জনঘনত্ব, বাসযোগ্যতা ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের উন্নয়ন থেমে যায়। দেশ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, শিল্প-কারখানাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়াও জিডিপির প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থ-সামাজিকসহ সব ক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার হলো আমার গ্রাম, আমার শহর। এর অধীনে সড়ক যোগাযোগ, ইন্টারনেট-টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সুপেয় পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হয়েছে। একটি উন্নত জীবনযাত্রার জন্য যে ব্যবস্থাপনা মানুষের প্রয়োজন তার সবই রয়েছে। গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা নিশ্চিত হলে শহরমুখী মানুষের চাপ কমবে।
তিনি আরও বলেন, সব শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে। নাগরিক অধিকারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সবাইকে মিলেমিশে একত্রে কাজ করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে রাজধানী দৃষ্টিনন্দন, নিরাপদ বাসযোগ্য ও টেকসই শহর হবে। রাজধানীকে বাসযোগ্য করার জন্য ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ন করেছে সরকার। ড্যাপের বাস্তবায়ন রাজধানীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করবে। এটি সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে ঢাকাকে পরিকল্পিতভাবে নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
গোল টেবিল বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে টেকসই করতে হলে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দখলকৃত খালের সীমানা চিহ্নিত করা হচ্ছে। সিএস দাগে খালের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও অংশ নেন নগর গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমন, পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ডিন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ ড. ইশরাত ইসলাম, রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্পের পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, আর্কিটেক্টস রিজিওনাল কাউন্সিলের এশিয়ার (আর্ক) স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ প্রমুখ।