নিউজ ডেস্ক : সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের উন্নতমানের সাময়িক আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করবে সরকার। চট্টগ্রাম বন্দরে আসা দেশি-বিদেশি নাবিকদের আবাসন ছাড়াও চিত্ত বিনোদন, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, সাইবার ক্যাফে, জিমনেশিয়াম ও এমিউজমেন্ট সুবিধা দেওয়া হবে।
এ লক্ষ্যে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সি ম্যান্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রকল্প বস্তবায়নকারী সংস্থা নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর। জুলাই ২০২২ হতে জুন ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ১২ ধারার বিধান বাস্তবায়ন; এমএলসি এর রেগুলেশন অনুযায়ী নাবিকদের কল্যাণ করা হবে। সরকার কর্তৃক অনুসমর্থিত মেরিটাইম লেবার কনভেনশন সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: আন্তর্জাতিক নৌ অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকরণ, নাবিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো উন্নততর করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হবে।
প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা: প্রস্তাবিত প্রকল্পে ১৯৫ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার দেশি-বিদেশি নাবিকের সাময়িক অবস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিদিন গড়ে ১২০ জন বিভিন্ন শ্রেণির নাবিকের উন্নতমানের সাময়িক আবাসন, চিত্ত বিনোদন, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, সাইবার ক্যাফে, জিমনেশিয়াম, এমিউজমেন্ট কর্নার ও অন্যান্য কল্যাণ সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন নাবিককে মেডিকেল সুবিধা দেওয়া হবে।
প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম: আবাসিক ভবন ভূমি বা সাইট উন্নয়ন ও মাস্টার ড্রেন এবং বহির্বিদ্যুতায়ন কাজ বাস্তবায়ন হবে। আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক, লিনেনাদি সামগ্রী, জিমনেশিয়াম ও খেলাধুলার সরঞ্জামাদি কেনা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিৎ কর্মকার জাগো নিউজকে বলেন, প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভায় কতিপয় সিদ্ধান্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। পিইসি সভার সুপারিশের আলোকে ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী নাবিক ও নৌ কর্মকর্তাদের জন্য সাময়িক আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক নৌ অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।