নিউজ ডেস্ক : কোভিড এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত বিরূপ পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের জন্য কনসেশনাল (নমনীয় শর্ত) আইডিএ তহবিল থেকে বিশ্বব্যাংকের কাছে বর্ধিত সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ঢাকায় সফররত বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এই সহায়তা চান মুস্তফা কামাল।
এসময় অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক, রিজিয়নাল ডিরেক্টর গুয়াংজে চেন এবং ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে বিশ্বব্যাংক ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে অর্থছাড় করা হয়েছে ২৬.৬ বিলিয়ন ডলার। আমরা এ পর্যন্ত সুদ ও আসল মিলে ৬.৩৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি। বিশ্বব্যাংক ২০২৩-২০২৭ অর্থবছরের জন্য কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তুত করছে।
তিনি বলেন, পরিবেশগত পুনরুদ্ধার এবং ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা নিশ্চিত এবং ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের অনুরোধে ‘বিউটিফিকেশন অব ঢাকা’ নামে একটি টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্সি (কারিগরি সহায়তা) প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। এর ফলে হাতিরঝিলের মতো ঢাকার আশপাশের নদীগুরোর সোন্দর্য বাড়বে এবং চলাচলের পথ সৃষ্টি হবে। বিশ্বব্যাংক এতে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইডিএ দেশগুলির অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে আইডিএ-২০ খুব সহায়ক হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের জন্য নির্ধারিত ৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আইডিএ-২০ সাইকেলকে স্বাগত জানান। তিনি কোভিড এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত বিরূপ পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের জন্য কনসেশনাল আইডিএ তহবিল থেকে বর্ধিত সহায়তার অনুরোধ করেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১৯ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১ বিলিয়ন বাজেট সাপোর্ট পেয়েছি। চলতি অর্থবছরে আরও ৫০০ মিলিয়ন বাজেট সাপোর্ট পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। গ্রিন, রেজিল্যান্ট, ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট (জিআরআইডি) ডিপিসির ২৫০ মিলিয়ন করে আগামী ২ অর্থবছরে ৫০০ মিলিয়ন পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করছি। ২০২৩-২০২৫ সাল মেয়াদে পাইপলাইনে রয়েছে ৬.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব।