দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হচ্ছে ভারত: গৌতম আদানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে ভারত। এসময় প্রতি ১২ থেকে ১৮ মাসে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে যোগ করবে দেশটি। এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি শনিবার (১৯ নভেম্বর) এ কথা জানিয়েছেন। খবর দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

গৌতম আদানি বলেন, পরপর বেশ কিছু বিশ্ব সংকটের কারণে অনেক পূর্বাভাস চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। চীনের উচিত পাশ্চিমাদের গণতান্ত্রিক নীতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, ইউরোপীয়দের উচিত একসঙ্গে থাকা।

তিনি বলেন, এই বহুমাত্রার সংকট এক মেরু বা পরাশক্তির এক দ্বিমেরু বিশ্বের মিথকে ভেঙে দিয়েছে, যা বৈশ্বিক পরিবেশ স্থিতিশীল করতে ভূমিকা রাখতে পারে।

আদানি গ্রুপের কর্ণধার বলেন, উদীয়মান বহুমাত্রিক বিশ্বে অন্যদের সাহায্য করার দরকার হবে পরাশক্তিগুলোকে। কোনো ইস্যুতে অন্যদের জোর করতে পারবে না তারা।

৬০ বছর বয়সী আদানি বলেন, এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির জন্য আমাদের ৫৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আরও এক ট্রিলিয়ন যোগ করতে লেগেছে ১২ বছর। তৃতীয় ট্রিলিয়ন ডলারের জন্য মাত্র পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিরভিত্তি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার জাতিকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় বেশ কয়েকটি কাঠামোগত সংস্কার শুরু করার সক্ষমতা দিয়েছে।

গত আট বছরে ভারতের অর্থনীতিতে বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলেছে দেশটি। তবে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে ২০২৭ সালের মধ্যে জার্মানিকে ও ২০২৯ সালের মধ্যে জাপানকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত।

স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ামেনস ইকোনমিক রিসার্চ বিভাগের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ভারত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে ২০২৯ সালে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ট্যাগ পেতে পারে। ২০১৪ সালে বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ছিল ভারত। সেখান থেকে এই সময়ে সাত ধাপ এগিয়েছে দেশটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ঢাকা সফর বাতিল
পরবর্তী নিবন্ধ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আপাতত জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ নয়’