নিজস্ব প্রতিবেদক : একই সম্পত্তি জামানত হিসেবে দেখিয়ে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হচ্ছে। অনিয়মের এমন ঋণে রাশ টানতে বাংলাদেশে ব্যাংক চালু করছে ঋণগ্রহীতার জমি বন্ধক রাখার একটি তথ্য ব্যাংক। যার নাম দেয়া হয়েছে মর্টগেজ ডেটা ব্যাংক।
আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকাল ৩:০০ টায় রাজধানীর তেজগাঁও-এর ভূমি ভবন মিলনায়নে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ‘মর্টগেজ ডেটা ব্যাংক’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ ভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। এতে ভূমি রেজিস্ট্রি, নাম-জারি ও বন্ধক রাখা হয়েছে কি না সেই তথ্যও থাকবে।
এ তথ্য ভাণ্ডারে ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের কাছে রাখা ঋণগ্রহীতার জামানত বা বন্ধকের যাবতীয় তথ্য থাকবে। যে কোনো ব্যাংক নতুন ঋণ অনুমোদনের আগে তা যাচাই করে দেখতে পারবে। এতে একই সম্পত্তি বা সহায়ক জামানত হিসেবে রেখে অন্য কোনো ব্যাংকের কাছ থেকে ইতোমধ্যে ঋণ নেওয়া হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। শুধু নিজেদের জমি একাধিক ব্যাংকের কাছে জামানত রেখে নয়, সরকারি জমি বন্ধক দেওয়ার মাধ্যমেও ঋণ নেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এমন অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য সংরক্ষণের এ উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক, যেটি কাজ শেষে সোমবার উদ্বোধন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকে থাকা গ্রাহকের ‘মর্টগেজ’ বা জামানতের তথ্যের এ ভাণ্ডারের নাম দিয়েছে ‘মর্টগেজ ডেটা ব্যাংক।
এর মাধ্যমে একই সম্পত্তি দেখিয়ে বারবার ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির সুযোগ কমে যাবে বলে মনে করছেন এমটিবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ডিজিটাল এ ডেটা ব্যাংক তৈরির কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এ ডেটা ব্যাংকে ভূমির বিবরণ থাকবে, যা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যুক্ত থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংক বন্ধক দিতে চাওয়া সম্পত্তির মালিকানা কার তা জানতে পারবে।
বর্তমানে ঋণের তথ্য যাচাইয়ে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) ছাড়াও ‘এন্টারপ্রাইজ ডেটা ওয়্যারহাউস’ নামে ঋণগ্রহীতা বা উদ্যোক্তাদের তথ্য নিয়ে আরও একটি কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডার রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
এমএ