ছুটির দিনে মুখরিত সিরামিক মেলা

দেশি-বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আর দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় চলমান সিরামিক এক্সপো।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) এক্সপোর দ্বিতীয় দিন। মেলায় ওয়ার্ল্ড ক্লাস রেঞ্জের নতুন নতুন টাইলস, স্যানিটারি আর টেবিলওয়্যারের নান্দনিক প্রদর্শনীর দেখা মিলছে প্যাভিলিয়নগুলোতে। এর মাধ্যমে একই ছাদের নিচে সিরামিক পণ্যের বৈচিত্র সম্পর্কে জানতে পারছেন আগতরা।

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সম্পূর্ণ উৎপাদনমুখী শিল্প হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সিরামিক শিল্প। আয়োজকরা জানান, প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক ও সরবরাহকারীরা তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন এই এক্সপোতে।

এক্সপোর মাধ্যমে দেশীয় সিরামিক পণ্য বাজারজাতকরণের পাশাপাশি ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে স্পট অর্ডারের সুযোগ। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ২৬ নভেম্বর।

বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, দেশে এরইমধ্যে সিরামিক, টেবিলওয়্যার, টাইলস্ ও স্যানিটারিওয়্যারের ৭০টিরও বেশি শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় বাজারে বিক্রির পরিমাণ বার্ষিক প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। গত দশ বছরে সিরামিক খাতে উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশ এবং বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। বিশ্বের প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশে সিরামিক পণ্য রপ্তানি করে বছরে আয় প্রায় পাঁচশ কোটি টাকা। এ খাতে রপ্তানি আয় বাড়ছে। বাড়ছে বিনিয়োগও। এ শিল্পে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এ খাতটির সঙ্গে জড়িত।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন বলেন, উন্নত, গুণগতমান ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে তৈরি সিরামিক পণ্যের কদর বাড়ছে। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে নতুন নতুন বাজারও সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, সিরামিক এক্সপো দেশের তৃতীয় ও সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক এবং সরবরাহকারীরা তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন এ এক্সপোতে। এক্সপোর মাধ্যমে দেশীয় সিরামিক পণ্য বাজারজাতকরণের পাশাপাশি ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে থাকবে স্পট অর্ডার।

তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। মেলার প্রিন্সিপাল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে আকিজ সিরামিকস, প্লাটিনাম স্পন্সর শেলটেক সিরামিকস ও ডিবিএল সিরামিকস এবং কো-স্পন্সর হিসেবে থাকছে মীর সিরামিক, আবুল খায়ের সিরামিক, বিএইচএল সিরামিক, এইচএলটি ডিএলটি টেকনোলোজি ও সাকমি।

ওয়েম কমিউনিকেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এক্সপোতে তিন দিনে থাকছে পাঁচটি সেমিনার, জব ফেয়ার, বিটুবি এবং বিটুসি মিটিং, র‌্যাফেল ড্র, আকর্ষণীয় গিফট্, লাইভ ডেমোনস্ট্রেশন, স্পট অর্ডার এবং নতুন পণ্যের মোড়ক উন্মোচনের সুযোগ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপঞ্চগড়ে ১ হাজার চক্ষু রোগীকে সেবা দেবে রিক
পরবর্তী নিবন্ধতেহরানকে রাজি করালো ঢাকা, আইওরা’র ডায়ালগ পার্টনার সৌদি