
নিউজ ডেস্ক : শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্রোকারেজ হাউসের মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কয়েকদিনের মধ্যে ডিএসই ও ডিবিএ’র প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বাজারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন। সেই সঙ্গে বর্তমান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পুঁজিবাজার উন্নয়নের বিভিন্ন পলিসি নিয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) ডিএসইর সঙ্গে ডিবিএ’র প্রতিনিধিদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, শরীফ আনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ডিবিএ’র পক্ষে সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাজেদুল ইসলাম ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন এবং সদস্য এম. রাজিব আহসান উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসই থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে পুঁজিবাজারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বসহকারে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ডিএসই ও ডিবিএ’র প্রতিনিধিরা বিএসইসির সঙ্গে বাজারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও বর্তমান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পুঁজিবাজার উন্নয়নের বিভিন্ন পলিসি নিয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলের সঙ্গেও আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে, ডিএসইর পরিদর্শন ও অনুসন্ধানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের জন্য তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির পরিচালক মো. মনসুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার। আর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসইর সিআরও খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ।
বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেন, বিএসইসিতে আমার কাজের মূল জায়গা হলো ইন্সপেকশন ও মনিটরিং। আর আমাদের মূল কাজ হলো এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইন মেনে চলানো। অনেক সময় দেখা যায়- আমাদের কর্মকর্তারা যে রিপোর্ট করে তার মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া যায় না। ফলে অনেক সময় আদালতকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা হয়। আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাই।
বিএসইসির পরিচালক মো. মনসুর রহমান বলেন, বিএসইসি প্রয়োজনে তার অধীন রেজিস্টার করা এনটিটিগুলো ইনকোয়েরি ও ইনভেস্টিগেশন করে থাকে। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে আপনারা ইনকোয়েরি ও ইনভেস্টিগেশন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। যার ফলে পরবর্তীসময়ে যেসব ইনকোয়েরি ও ইনভেস্টিগেশন করা হবে তা আরও যথাযথ হবে।
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, আমরা বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ইনভেস্টিগেশন, ইন্সপেকশন ও ইনকোয়েরি করে থাকি। তবে বিএফআইইউ, অ্যান্টিকরাপশন কমিশন ও পিবিআইর আমাদের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে আমাদের কর্মকর্তারা তাদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারবেন।