জয়পুরহাটে আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ঋণ

নিউজ ডেস্ক : হাট: দেশের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট চিনিকল চলতি ২০২২-২০২৩ আখ রোপণ মৌসুমে ৬ হাজার একর জমিতে আখ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

চিনিকলের কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২২-২০২৩ আখ রোপণ মৌসুমের শুরু হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে।

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আখ চাষে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার আখ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার একর জমিতে।
রোপণের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে, এবার আখ পাওয়া যাবে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। এখানে চিনি আহরণের শতকরা হার ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৪ ভাগ। এতে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১১৮ মেট্রিক টন।

এদিকে অন্যান্য ফসলের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আখের দামও বাড়িয়েছে সরকার। বর্তমানে মিল গেটে আখের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে পার মেট্রিক টন ৪ হাজার ৪৫০ টাকা এবং বাইরের ক্রয় কেন্দ্রের জন্য ৪ হাজার ৪৪০ টাকা। আখের দাম বাড়ানোর ফলে আখ চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে জানান জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান।

চিনিকল সূত্র জানায়, আখ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারি সহায়তা হিসেবে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ঋণ প্রাপ্ত আখ চাষির সংখ্যা ২ হাজার ৭০০। এর মধ্যে রয়েছে সার ও উন্নত মানের আখের বীজসহ অন্যান্য উপকরণ। আখ সুগারমিলে (চিনিকল) সরবরাহ করার পর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হয়। ফলে ঋণ পরিশোধ করার জন্য আখ চাষিদের কোনো বাড়তি চাপ থাকে না। ২০২২-২০২৩ মৌসুমের জন্যও ৬ হাজার একর জমিতে আখ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০২১-২০২২ মাড়াই মৌসুমে ২১ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১ হাজার ১৬২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছিল। আর আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২২-২৩ সালের আখ মাড়াই মৌসুম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদারাজ থেকে পণ্য কিনে পেমেন্ট পরিশোধ করা যাবে নগদ-এ
পরবর্তী নিবন্ধদিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষ, নিহত ৩