সস্তায় তেল কিনে ডিসেম্বরেও রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা ভারত

নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর নানাভাবে মস্কোর তেল ব্যবসা রুখতে কৌশল বের করছে পশ্চিমা দেশগুলো। এতে রাশিয়ার তেলের ওপর ব্যাপক নির্ভরশীল ইউরোপ ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোয় মস্কোর তেল রফতানি কমে গেলে, দেশটি তাদের অর্থনীতি সচল রাখতে বিকল্প বাজার হিসেবে এশিয়ার দেশগুলোর দিকে ঝুঁকছে। যার বড় সুবিধা ভোগ করছে ভারত।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু পরপরই বাজার দরের চেয়ে অনেক কম দামে ভারত ও চীনের কাছে তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। যেখানে বাধা দিতে চলতি মাসের শুরুতেই সমুদ্রপথে রাশিয়ার তেল পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সঙ্গে রাশিয়ার জ্বালানি তেল কেনার দর প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয় ইইউ, জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো (কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন, আমেরিকা) ও অস্ট্রেলিয়া। যা ৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

যেখানে ৪টি সূত্রের বরাতে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ডিসেম্বরে বিশাল ছাড়ে ৬০ ডলারেরও কম দামে উরাল গ্রেডের অপরিশোধিত তেল কিনছে।

রিফিনিটিভের তথ্য অনুসারে, নভেম্বরের পর ডিসেম্বরেও রাশিয়ার জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত। চলতি মাসে রাশিয়ার রফতানি করা উরাল গ্রেডের অপরিশোধিত তেলের বেশিরভাগই লুফে নিয়েছে ভারত। এমনকি সময় যত গড়াবে প্রতি মাসে এ রফতানি বাড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

ইকোনমিকস টাইমস বলছে, নভেম্বর মাসে উরাল গ্রেডের মোট ট্যাঙ্কার চালানের প্রায় ৫৩ শতাংশই ভারতে সরবরাহ করা হয়েছে। যা এযাবতকালে সর্বোচ্চ। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার তেল রফতানি বাজারে ভারতের দখল ৭০ শতাংশেরও বেশি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ইতোমধ্যে ভারতে কমপক্ষে ২ মিলিয়ন টন উরাল গ্রেডের তেল পাঠিয়েছে রাশিয়া। যা মাস ব্যবধানে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

এদিকে ইইউ এর তেল নিষেধাজ্ঞার আওতা থেকে বাদ পড়া বুলগেরিয়া ডিসেম্বর মাসে উরাল গ্রেডের তেলের দ্বিতীয় বড় ক্রেতা। ডিসেম্বরে দেশটিতে ৮ লাখ টন তেল সরবারহ করেছে রাশিয়া।

তবে সে তুলনায় চীনে উরাল গ্রেডের তেল রফতানির পরিমাণ বেশ কম। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার টন তেলের একটি কার্গোর চীনে রফতানি করেছে মস্কো। তবে চলতি মাসে চীনে এই গ্রেডের তেলের সরবরাহ বাড়াবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া তুরস্কও রাশিয়া থেকে একই পরিমাণ তেল কিনেছে, যেখানে ২০২২ সালে ব্যাপক আকারে রুশ তেল আমদানি করেছে দেশটি।

তাছাড়াও ডিসেম্বরে উরাল গ্রেডের চালানগুলোর অন্তত এক তৃতীয়াংশের গন্তব্য এখনও চিহ্নিত করা যায়নি, তবে সেগুলোর বেশিরভাগই শেষমেশ ভারতেই সরবরাহ করা হবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকার পতন এত সোজা না: শেখ হাসিনা
পরবর্তী নিবন্ধবুধবার শুরু হচ্ছে আবাসন মেলা