নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে যে সংকট তৈরি হয়েছে, বাংলাদেশ সেই সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। প্রয়োজনের চেয়ে এখন আমাদের বেশি রিজার্ভ আছে। মূল্যস্ফীতি কমেছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সংকটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় শক্তি ছিল কৃষি ও কৃষক। আমাদেরও এখন সেটিই বড় শক্তি। এবারও কৃষিতে বাম্পার ফলন হয়েছে।’
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সভায় তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলার ফাইনাল হয়ে গেলো। কিন্তু কোথাও বিদ্যুৎ নেই, এমন হয়নি। এবার কোথাও ভাঙচুর হয়নি। অথচ আগে বিশ্বকাপ হয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ভাঙচুর হয়নি, এমন হয়নি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের নিজেদের কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলার প্রতিফলন থাকা দরকার। আমরা গড়তে চাই স্মার্ট বাংলাদেশ। এর পূর্বশর্ত শৃঙ্খলা। সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।’
সম্প্রতি গঠিত জোট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে নাকি রাষ্ট্রকে মেরামত করার জোট হয়েছে। গতবার ২৩ দল ছিল, এবার ৩৩ দল হয়েছে। বাংলাদেশে জোটের অভাব নেই। এখানে বাম-ডান সব এক হয়ে গেছে। এখানে প্রগতি আর নেই। প্রগতিশীল আর প্রতিক্রিয়াশীল এক হয়ে গেছে, লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে হটাও।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় থেকে এ রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তারা নাকি রাষ্ট্র মেরামত করবেন? মেরামত তো শেখ হাসিনা করেছেন। ধ্বংসে করেছেন আপনারা। দুর্নীতি আর লুটপাট করেছেন। রাষ্ট্রকে মেরামত আমরাই করেছি। আমরাই করবো।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, যুবলীগের শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চুসহ শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সদস্যরা।