শীতের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী, বেড়েছে চাল-মুরগি দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সরু চালের দাম। একই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা। শীতের সবজির দামও এখন ঊর্ধ্বমুখী। সব সবজিই এখন গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজারে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন টাকা বাড়তি দামে। আমন মৌসুমেও বাজারে চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। শুধু মোটা চালের দাম সামান্য কমেছিল। তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে সরু চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

মালিবাগ বাজারের এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, আমন মৌসুমের চাল বেশিভাগই মোটা হয়। এজন্য এ সময়ে মোটা চালের দাম না বাড়লেও সরু চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

যদিও বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর পরও বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েড়নি।

বাজার ও মান ভেদে সরু মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা।

অন্যদিকে শীত মৌসুম শেষ না হলেও মৌসুমি সবজির দাম বাড়তির দিকে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ ঘাটতির কথা বললেও কোথাও সেরকম লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে। তবে দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মুলা ও প্রতি পিস ফুলকপিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সিমের কেজি এখন ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, উচ্ছের কেজি ৮০ টাকা, তাল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা। এছাড়া লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, বরবটির কেজি ১০০ টাকা, ভালো মানের প্রতি পিস লাউ ১০০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতি পিস লাউ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁপের কেজি ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। এছাড়া নতুন আলুর কেজি ৩০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি নতুন পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।

অন্যদিকে অব্যাহত রয়েছে আদা রসুনের মূল্য বৃদ্ধি। এ দুই পদের মসলা কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি দেড়শ থেকে ২০০ টাকা।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ডিমের দামে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। কোনো কোনো এলাকায় প্রতি ডজন (১২ পিস) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। কোথাও আবার ১২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দোকানিরা সামাজিক ও বিভিন্ন উৎসবকে দায়ী করছেন। চাহিদা বাড়ার কারণে ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদারিদ্রসীমা ৪০ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশে এনেছে সরকার: স্পিকার
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্কমুক্ত তুলা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী