৩ প্রতিষ্ঠানকে সনদ দিলো ডিএসই

নিউজ ডেস্ক : তিন প্রতিষ্ঠানকে ফিক্স সার্টিফিকেশন সনদ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড, ফাস্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

বিশ্বের অন্যান্য স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে সঙ্গতি রেখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ভিওিক বিএইচওএমএস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে৷ এরই প্রেক্ষিতে ৪৬টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করে৷এরই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান তিনটিকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করে ডিএসই।

ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রক্রিয়ায় সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এবং শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেড-এর ওএমএস ভেন্ডর ছিল ডিরেক্ট এফএন এবং ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর ছিল ইকোসফট বিডি। ভেন্ডর প্রতিনিধি ডিরেক্টএফএন এশিয়া জোনের হেড অব বিজনেস অ্যান্ড স্ট্রাটেজি আমির শামস, ইকোসফটবিডি আইটি লিমিটেড এর চিফ পরিচালন কর্মকর্তা সোহেল রানা এবং সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এবং শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেড-এর পরামর্শক হাইমদলার অ্যান্ড কোং-এর কনসালটেন্ট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গ্রহণের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনটি প্রতিষ্ঠান ইউজার এক্সেস্টটেন্স টেস্টিং কার্যক্রম সফলতার সাথে সম্পন্ন করে৷ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) চালুর পূর্ববর্তী ধাপ হলো-ফিক্স সার্টিফিকেশন৷ আর ওএমএস গো লাইভে যাওয়ার জন্য ডিএসই’র ম্যাচিং ইঞ্জিন ও ব্রোকার হোসে্টড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (ওএমএস) এর সিস্টেম কম্প্যাটিবিলিটি যাচাইয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ফিক্স সার্টিফিকেশন৷সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড, ফাস্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ফিক্স সার্টিফিকেশনের জন্য টেস্ট কেসের কার্যক্রম ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সফলতার সাথে সম্পন্ন করে৷

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মিসবাহ উদ্দিন আফফান ইউসুফ, ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের সিইও মুহাম্মদ কাউসার আল মামুন এবং শান্তা সিকিউরিটিজ এর সিইও কাজী আসাদুজ্জামানসহ প্রতিষ্ঠানসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা৷

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের৷

ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান বলেন, আজ ডিএসইর জন্য স্মরণীয় একটি দিন। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে পুঁজিবাজারেরও উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। আট-দশ বছর আগে ডিএসই শুধুমাত্র একটি সেন্ট্রাল অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সম্বলিত ম্যাচিং ইঞ্জিন কিনেছিল। কার্যত তখন একইসময় অনেক ওএমএস সংযোগ দেওয়া যেতে পারে তা বিবেচনা বা চিন্তা করা হয়নি। এখন ডিএসইর ট্রেকহোল্ডারদের ভিন্ন ভিন্ন ওএমএস সিস্টেম ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই ওএমএস এর অন্তর্ভূক্তির নতুন প্রক্রিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে আমি সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ডিএসই ইতোমধ্যে ফিক্স সার্টিফিকেশন দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এখন ডিএসই, প্রযুক্তি প্রদানকারী ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো একসাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ডিএসই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আমি আশা করি ডিএসই অচিরেই আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত আন্তর্জাতিকমানের এক্সচেঞ্জে পরিণত হবে।

সিটি ব্রোকারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মিসবাহ উদ্দিন আফফান ইউসুফ বলেন, ফিক্সড সার্টিফিকেট গ্রহণ আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমরা ২০২১ সালে সার্টিফিকেট গ্রহণ করি। আমরা সে সময় সার্টিফিকেটটি ফিক্সনক্স এর কাছ থেকে নিয়েছিলাম, এর কিছুদিনের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এই সার্টিফিকেট প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য একটি বড় অর্জন। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের বিনিয়োগকারীদের আরও উন্নত সেবা প্রদান করতে পারবো।

ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের সিইও কাওসার মুহাম্মদ কাউসার আল মামুন বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে বিশ্বের সাথে তাল মিলানোর জন্য যে প্রক্রিয়া সেটি আজকে আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। সারা বিশ্বে আজ আধুনিক পদ্ধতিতে লেনদেন করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে আমরা আমাদের লেনদেন প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নিত করতে পেরেছি। এখন শুধু বাকি রয়েছে রোবটিক ট্রেডিং। আশাকরি এটি আমরা অল্প সময়ে মধ্যে করতে পারবো। আর পুঁজিবাজারে বিভিন্ন সেবা চালুর মাধ্যমে আমাদের পুঁজিবাজার বিশ্বমানের পুঁজিবাজারে পরিণত হবে।

শান্তা সিকিউরিটিজের সিইও কাজী আসাদুজ্জামান বলেন, শান্তা সিকিউরিটিজ তার সূচনালগ্ন থেকেই বিনিয়োগকারীদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সচেষ্ট। ডিএসই যখন নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন সুবিধা চালু করে শান্তা সিকিউরিটিস দ্রুত এ সুবিধা গ্রহণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে। এটি অত্যন্ত দীর্ঘ প্রক্রিয়া হবার কারণে এর সাথে যারা জড়িত ছিলেন আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছি। এক্ষেত্রে আমরা ডিএসই’র সহযোগিতা চাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে প্রাণহানিতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
পরবর্তী নিবন্ধএনসিসি ব্যাংকে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত