নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী মার্চ মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বিজনেস সামিটে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজেদ বিন আব্দুল্লাহ আলকাসাবির নেতৃত্বে একটি বড় ডেলিগেশন অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। কয়েকটির কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এগুলোতে আরও বেশি সৌদি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, বাংলাদেশ বিভিন্ন পণ্যের একটি বড় বাজার। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সরকার বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। মার্চ মাসে ঢাকা অনুষ্ঠেয় বিজনেস সামিটে সৌদির বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বড় ডেলিগেশন অংশ নেবে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্যমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে মতবিনিময়ের সময় বাণিজ্যমন্ত্রীকে এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
টিপু মুনশি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র এবং দীর্ঘদিনের বৃহৎ ব্যবসায়িক ও উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, বেকারি আইটেম, ভিজিটেবল, জুসপণ্যসহ বেশকিছু পণ্য রপ্তানি হয় সৌদি আরবে। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক জনশক্তি সৌদি আরবে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশ সৌদি আরব থেকে পেট্রোলিয়াম ওয়েলস, পেট্রোলিয়াম গ্যাস, ফার্টিলাইজার, খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২৯০ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য সৌদি আরবে রপ্তানি করেছে। একই সময়ে ১,৬৯৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবের বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে সৌদিআরব বাংলাদেকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় ‘বিজনেস সামিট-২০২৩’ এ সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বড় ডেলিগেশন অংশ নেবে।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে তার সঙ্গে ঢাকায় সফররত গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদৌ তানগারা’র নেতৃত্বে আগত ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন তারা।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিনি নিকোলাসের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় কানাডার হাইকমিশনার বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে ভোজ্যতেল কেলোনা ও কেলোনা বিজ রপ্তানির প্রস্তাব দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে গুরুত্বসহকারে বিবেচনার কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার কানাডা। তিনি কানাডার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।